ডেস্ক নিউজঃ রাজধনীর কদমতলী থানাধীন কহিনুর(২৫) নামের এক নারীর হত্যার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহতের পরিবার বর্গ। রাজধানীর শ্যামপুর থানা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী জানানো হয়। গত ২৯ জানুয়ারী রোববার দুপুরে পরিবাবের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
এসময় কহিনুরের বাবা মোঃ দাদন মিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন,আমার মেয়ে কহিনুরের প্রায় আড়াই বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় রমজান আলী (৩০)’র সাথে এবং কহিনুর’র মাহাবিল নামের দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে এবং তাকে যখন হত্যা করা হয় তখন কহিনুর পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
মৃত কহিনুরের বাবা জানান আমার মেয়ে জামাই গত ০৯ জানুয়ারী মালয়েশিয়া যায় এবং মেয়ে জামাই বিদেশে যাওয়ার পর থেকেই সাংসারিক সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৃত কহিনুর কে শারিরীক মানসিক নির্যাতন করেন,
তিনি আরো বলেন, গত ২২/জানুয়ারী আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে জমির নামের একলোক আমাকে বলেন আপনি সিলেট থেকে তাড়াতাড়ি ঢাকায় আসেন আপনার মেয়ে অসুস্থ বলে ফোন কেটে দেয়, কিছুক্ষণ পরে পুনরায় ফোন আসে যে,আমার মেয়েকে হসপিটাল নিতে হবে।
মোঃদাদন মিয়া তার মেয়ে কহিনুরের শশুর শাশুড়ীকে ফোন দিলে রিসিভ করেন। নিহতর গ্রামের বাড়ি সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পশ্চিম ঠাকুরের মাটি গ্রামে।
তিনি বলেন, পরে জমির নামের এক লোক মুঠো ফোনে আমাকে ফোন করে বলেন আপনার মেয়ে কহিনুর মরে গেছে মেয়ের লাশ দেখতে আসেন। তাৎক্ষণিক ভাবে আমি ঢাকায় উদ্দেশ্য রওনা হই।
২৩ জানুয়ারী সকালে আমি মিটফোর্ড হাসপাতালে চলে আসি মেডিকেলে এসে আমার মেয়েকে আমি পাগলের মতো খুজতে থাকি এমতাবস্থায় হাসপাতালের বারান্দায় আমার মেয়ের লাশ দেখতে পাই কিন্তু লাশের পাশে আমার মেয়ের শশুর বাড়ির কাউকে পাই নাই বলে জানান কহিনুরের বাবা।
মেযের লাশ পোস্ট মার্ডাম করে আমি রাজধানীর কদমতলী থানায় পাঁচ জনকে আসামি করি একটি মামলা দায়ের করি যার নং ৩২/২০২৩।
উক্ত মামলার আসামিরা হলেন ১ঃমোঃজাহাঈীর(৬০)পিতাঃমৃতু হাসেম মুন্সি,২ঃমোসাঃপারভীন বেগম(৫১) পিতা মৃত্যু মোবারক,স্বামী জাহাঙ্গীর ৩ঃমোঃকাউসার(৪০) পিতা মোঃজাহাঙ্গীর,মাতা পারভীন ৪ঃফাতেমা বেগম(২৮) পিতা মোঃজাহাঙ্গীর,মাতা পারভীন,স্বামী রোকন ৫নং রোমানা(২৪)পিতা মোঃজাহাঙ্গীর,মাতা পারভীন,স্বামী মোঃমিজান ৬ঃমোসাঃসোমা(১৮)পিতা মোঃজাহাঙ্গীর,মাতা পারভীন সর্বসাং বাড়ি নং ১০ রোড নং ০২ বালুর মাঠ,থানা কদমতলী ঢাকা।
মৃত্যু কহিনুরের বাবা দাদন মিয়া বলেন আসামী ও হত্যা কারীদের বাঁচানোর জন্য শিল্পপতি মোঃসিরাজুল ইসলাম(সিরাজ) সহ-সভাপতি কদমতলী থানা আওয়ামী লীগ,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, তার ছত্রছায়ায় ঘুরছেন হত্যাকারীরা। আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে পরিকল্পিত ভাবে আমার মেয়েকে এ আসামীরা হত্যা করেন এবং তারা কোহিনুর কে মেরে তারা নিজেরাই তাৎক্ষণিক ভাবে কহিনুর কে আজগর আলী হাসপাতাল গেন্ডারিয়া ঢাকায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন।
১নংবিবাদী মোঃজাহাঙ্গীর আমাকে লোক মারফত আমার মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ জানায় এবং কদমতলী থানা পুলিশ আমাকে মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ প্রদান করিয়া জানান যে,আমার মেয়ের মৃত দেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করিয়া লাশ ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল ঢাকায় প্রেরণ করেছেন। আমি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে গিয়ে আমার মেয়ের মৃত দেহ সনাক্ত করি।
পরবর্তীতে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার মেয়ের ফ্ল্যাটে সাবলেট ভাড়াটিয়া,নাসিমা বেগম(৩০) ও তার স্বামী আলমগীর হোসেন এবং তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া, আতাউর রহমান খোকন(৪৬) এর নিকট ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত শুনিয়া আমার নিকটতম আত্মীয় স্বজনদের সহিত আলোচনা করিয়া,থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
মৃত কহিনুরের বাবা সাংবাদিকদের জানান, আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে, আমি কোহিনুরের বাবা হয়ে কদমতলী থানায় একটি মামলা করা সত্ত্বেও,পুলিশ হত্যা মামলার আসামিদের কে আইনের আওতায় নেননি।
মৃত কহিনুরের বাবা মোঃদাদন মিয়া সম্মেলন বলেন বাংলাদেশ সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার,কাছে আকুল আবেদন,কহিনুরকে যারা হত্যা করেছে তারা প্রকাশে ঘোরাঘুরি করতেছে,তাই আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবী করেন।