জৈন্তাপুরে সুমি বেগমের সহযোগিতায় ধর্ষন।
অবশেষে জৈন্তাপুর মডেল থানার জ্বালে বন্দি ধর্ষণকারী ও ধর্ষনে সহযোগী । তারা দুজনেই স্বামী স্ত্রী। বড় নির্মম কাহিনী।
( জৈন্তাপুরে ইউনিভারসিটি পড়ুয়া ছাত্রীকে চেতনা নাশক খাইয়ে ধর্ষনের ঘটনায় অাটক স্বামী-স্ত্রী)
সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটিতে এল.এল.বি ১ম সেমিষ্টারে অধ্যায়নরত ছাত্রী খালার সহায়তায় খালু কর্তৃক ধর্ষনের স্বীকার, ঘটনায় খালা খালু অাটক করেছে পুলিশ ৷
মামলার এজাহার সূত্রে যানাযায়, সিলেটের জৈন্তাপুরে সমাজ কল্যান বিভাগে অনার্স ২য় বর্ষ ও পাশাপাশি সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটিতে এল.এল.বি ১ম সেমিষ্টারে অধ্যায়নরত ছাত্রী বৈষিক মহামারির কারনে নিজ বাড়ীতে অবস্থান করে ৷ অাসামীগন ভিকটিমের একই গ্রামের বাসিন্দা ও ২নং আসামী সুমি বেগম সম্পর্কে ভিকটিমের খালা হয় । সেই সুবাধে ভিকটিম সিলেট হতে বাড়িতে আসা যাওয়া করলে আসামী সুমি বেগম ভিকটিমকে তাহার বাড়ীতে ডাকিয়া নিয়া বিভিন্ন গল্প গুজব কথা বার্তা বলিত । আসামী সুমি বেগম খালা সম্পর্ক হওয়ায় ভিকটিম সরল বিশ্বাসে তাহার বাড়ীতে যাওয়া আসা করে ।
গত ২ মে আসামী সুমি বেগম ভিকটিমকে ইফতারির দাওয়াত দেয় কিন্তু ভিকটিম যেতে রাজী ছিলেন না, আসামী সুমি বেগম ভিকটিমের পিতা-মাতাকে বলিলে ইফতারের কিছু আগে সরল বিশ্বাসে আসামীদ্বয়ের বাড়িতে যাই। ইফতার শেষে কিছু সময় বিশ্রাম করার পরে রাত অনুমান ৮টায় আসামী সুমি বেগম কৌশলে চায়ের সাথে নেশা জাতীয় কিছু মিশাইয়া চা খাইতে দেয়। অতিথি পরায়নোর সুবাদে ভিকটিম সরল বিশ্বাসে চা খাওয়ার পরে অচেতন হইয়া পড়লে আসামী সুমি বেগমের সহায়তায় তার স্বামী কয়েছ আহমদ ভিকটিম ধর্ষন করে এবং উলঙ্গ অবস্থায় মোবাইলে ভিকটিমের ভিডিও ধারন করে ৷ ভিকটিমের চেতন ফিরিলে আসামী কয়েছ আহমদকে পাশে দেখিতে পায়, ভিকটিম চিৎকার করিলে আসামী কয়েছ আহমদ ভিকটিমের মুখ চাপিয়া ধরিয়া রাখে ভিকটিম ধস্তাধস্তি করে মুক্ত হয়ে তাহার পিতার মাতাকে সংবাদ দেয়৷ সংবাদ পাইয়া দ্রুত আসামীদ্বয়ের বাড়িতে আসেন এবং ঘটনা বিস্তারিত বলেন, এ সময় ভিকটিমের মা কৌশলে আসামীর মোবাইল সংগ্রহ করিয়া নেয়। ভিকটিম তাহার আত্বীয় স্বজনের পরামর্শে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি হইয়া চিকিৎসা গ্রহন করে মর্মে এজাহারে উল্লেখ করে৷ পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী /২০০৩) এর ৯ (১) /৩০, তৎসহ ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ৩২৮ ধারা এবং ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১) মামলা রেকর্ড করে (মামলা নং-০১, তারিখ- ০৪/০৫/২০২০)৷ মামলা রেকর্ডের পর অাসামীদের ধরতে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৷ পরে র্যাব ৯ এর সহযোগিতায় ৮মে দিবাগত রাত ৯মে রাত দেড়টায় সিলেট হতে নারী লোভী লম্পট নিজপাটের রেনু মিয়ার ছেলে কয়েছ আহমদ (৩৫) ও তার স্ত্রী সুমি বেগম (৩০) কে অাটক করা হয়৷
জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিক অাটকের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, অাসামী এই জগন্য ঘটনার কথা স্বীকার করেছে এ ঘটনায় তার স্ত্রী তাকে সহযোগীতা করেছে বলে জানায় ৷ অামরা তাকে অাটক করে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে অাদালতে প্রেরণ করেছি৷ অাদালতের কাছে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী জানান ৷
সংবাদ সংগ্রীহিত।