অলিউর রহমান, বিয়ানিবাজারঃ
বিয়ানীবাজার থেকে এ পর্যন্ত ৩জন করোনা পজিটিভ রোগী পালিয়ে গেছেন। তবে পালিয়ে যাওয়া দুই ব্যাংক কর্মকর্তা নিজ এলাকার হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন বলে জানা গেছে। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর রোগীরা উধাও হওয়ার ঘটনায় উপজেলাবাসী দু:শ্চিন্তায় আছেন। এরআগে মাটিজুরার মালোপাড়া এলাকার করোনায় নিহত আবুল কাশেমও বাড়ি থেকে উধাও হয়েছিলেন।
অপর আরেক করোনা রোগী কপু মিয়া (২১) কোথায় আছেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায়। তিনি পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। সে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের নতুন নির্মানাধীন ভবনে কাজ করতো এবং কলেজ রোড সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করতো। তার বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার রাজনগরে। ওই ভবনে আরো অনেক নির্মাণ শ্রমিক কাজ করেন।
এদিকে উপজেলার বৈরাগীবাজারে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম করোনা পজিটিভ হওয়ার পর তিনি শ্বশুড় বাড়ি বেড়াতে যান। সেখান থেকে অবশ্য জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে আছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। একই ব্যাংকের অপর কর্মকর্তা জুয়েল রানাও উধাও হয়েছিলেন। পরে অবশ্য তিনি গ্রামের বাড়ি নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জের হাসপাতালে আইসোলেশনে যান।
বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. আবু ইসহাক আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর থেকে করোনা রোগী কপু মিয়ার কোন খোঁজ পাচ্ছি না। তাঁর ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বরও বন্ধ পাচ্ছি। এমনকি তাঁর সঙ্গীদেরও মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে। কপু মিয়ার বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা পলাতক কপু মিয়ার নাম-ঠিকানাসহ বিষয়টি বিয়ানীবাজার থানাকে অবগত করেছি। এছাড়া রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বশীলদের সাথেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।
বিয়ানীবাজার সুজন’র সভাপতি এডভোকেট আমান উদ্দিন বলেন, করোনা শনাক্ত হওয়ার পর রোগীরা কে-কিভাবে এলাকা ছাড়ছে, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তারা যদি গণপরিবহণ ব্যবহার করে অন্যত্র চলে যায়, তবে সমাজের জন্য আরো বিপদ ডেকে আনবে। তিনি করোনা রোগীদের নিরাপদে হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকার অনুরোধ করেন।