রাকিবুল হাসান সুমন, যশোর জেলা প্রতিনিধি:
যণোরের মণিরামপুর উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বুধবার যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে প্রতিমন্ত্রীর এপিএস সহ ৪ জনপ্রতিনিধির নামে মামলা করেছেন মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা খানম।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২২ জুলাই বুধবার মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও এলজিআরডি মন্ত্রনালয়ের মাননীয় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য প্রধান উপদেষ্টা ও মামলার বাদী উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম নিজে উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভা চলাকালে বাদী মণিরামপুর পৌর শহরে ৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি সংগঠিত হওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছিলেন।
এ সময়ে সভার বিধি ভঙ্গ করে এজেন্ডা বর্হিভূত একটি অযৌতিক বিষয় নিয়ে আসামী ৯নং ঝাপা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু সভার মধ্যে হট্টগোল শুরু করে দেয়। তিনি বলেন, আমার পুত্র ফেসবুক আইডিতে জনপ্রতিনিধিদের কটাক্ষ করে ষ্টাটাস দিয়েছেন এবং ভিত্তিহীন এ ষ্টাটাস কেন প্রদান করেছেন তার বিচার দাবী করেন।
বাদীর দাবী এ বিষয়ে তিনি যুক্তিসংগত জবাব প্রদান করলেও আসামীগণের পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক সভায় হট্টগোল শুরু করে এবং তাকে গালিগালাজ ও মারপিট করতে উদ্যত হয়। তিনি আসামীগণের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে দ্রæত সভাস্থল ত্যাগ করে পাশেই জীপ গাড়ীতে উঠার প্রাক্কালে আসামীরা কূরুচীপূর্ণ অঙ্গভঙ্গিসহ তার পরনের কাপড় টানাটানি করে শ্লীতাহানি ঘটায়।
এ সময় তার ভ্যানিটি ব্যাগ হতে মূল্যবান কাগজপত্র ও ১টি শাওমি ১৮ হাজার টাকার মোবাইল সেট পড়ে গেলে আসামীরা কাগজপত্রসহ তার মোবাইল সেটটি নিয়ে চলে যায়। এ ঘটানার বিচার দাবী করে বাদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা খানম বুধবার যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে এ মামলাটি করেছেন মামলার আসামীরা হলো (১) ৯নং ঝাপা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যন-সামছুল হক মন্টু, (২) ৩নং ভোজগাতী ইউপি চেয়ারম্যান-মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, (৩) উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান-জলি আক্তার, (৪) ভাইস চেয়ারম্যান-উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু এবং (৫) পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রীর এপিএস-কবির খান।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম বলেন, আসামীরা আমাকে চরম অপমানসহ টানাহেচড়া ও শ্লাতাহানী করেছেন। আমি সঠিক বিচারের জন্য বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছি।
প্রতিমন্ত্রীর এপিএস কবির খান বলেন, আইন শৃংখলার সভায় আমি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টচার্য্যরে পাশেই ছিলাম। আমি সভা শেষ না পর্যন্ত সভাস্থল উপজেলা মিলনায়তনের ভিতরে ছিলাম, বাইরে কি হয়েছে কিছুই জানিনা। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রতিহিংসার বশবতি হয়ে আমার নামে মামলা করেছেন।
এ ব্যাপারে আসামী ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল হ
ক মন্টু ও মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।