স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া ও জনমানুষের মুখে এখন যে নামটি মোটামুটিভাবেই পরিচিত ও বিতর্কের প্রধান তা হচ্ছে সুশান্ত দাশ গুপ্ত। হবিগঞ্জের খবরের তথ্যানুসন্ধানে বিষয়টি বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করা হয়েছে।
সুশান্ত দাশগুপ্ত একজন প্রকৌশলী। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে বিদেশ গমন৷ ইউরোপ কেন্দ্রীক রাষ্ট্রে বসবাসরত সুশান্ত দাশগুপ্ত আমার এমপি ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা। সম্প্রতি ১৪ ই এপ্রিল হবিগঞ্জে তাঁর উদ্যোগে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয় যার নাম দৈনিক আমার হবিগঞ্জ। আমার হবিগঞ্জ পত্রিকায় নিয়মিত তিনি দুর্নীতি ও হবিগঞ্জে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখতে থাকেন৷ যদিও তাঁর পত্রিকায় প্রকাশিত লেখা নিয়ে বিতর্ক আছে। সুশান্ত দাশগুপ্ত বলছেন “আমরা যা প্রকাশ করি তথ্য প্রমাণ নিয়েই” সংবাদ ভুল প্রমাণের চ্যালেঞ্জও দিয়েছেন তিনি।
পত্রিকা প্রকাশের দুই মাসের মাথায় তিনি সহ তাঁর পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক ও প্রধান প্রতিবেদক সহ চার জনের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার ও ভূয়া সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাঃ সম্পাদক ও আরটিভির প্রতিনিধি সায়েদুজ্জামান জাহির। সুশান্ত দাশগুপ্ত কে আটক করে পুলিশ ও বাকি তিনজন পলাতক থেকে পরে সুশান্ত দাশগুপ্ত জামিনে মুক্ত হলে তিনজন থানায় আত্মসমর্পণ করেন৷
সুশান্ত দাশগুপ্তের লেখায় সবচে বেশী যে বিষয়গুলো উঠে আসে তা হচ্ছে হবিগঞ্জের রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণহীনতা, দূর্নীতি, উন্নয়ন সহ নানান বিষয়। অনেকেই অভিযোগ করে বলেন “হবিগঞ্জের সাংসদ আবু জাহির কে বিতর্কিত করতেই মূলত সুশান্ত দাশগুপ্ত তাঁর পত্রিকায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কিছু বিতর্কিত সংবাদ প্রকাশ করে চলেছেন”। পক্ষে ও বিপক্ষে বিতর্ক যেন থামছেই না।
সুশান্ত দাশগুপ্ত কে নিয়ে হবিগঞ্জের রাজনীতিতেও প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে অনুমান করা যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন সুশান্ত দাশগুপ্ত হবিগঞ্জের আওয়ামিলীগের পটপরিবর্তনে বড় ধরনের একটি প্রভাব রাখতে চলেছেন৷ সুশান্ত দাশগুপ্ত নিজেকে আওয়ামীলীগ ও বঙ্গবন্ধু আদর্শের পরিচয় দিলেও আওয়ামীলীগের ভেতরকার সমালোচনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার বক্তব্য মতে তাঁর কথা হচ্ছে ” আওয়ামীলীগ এখন সারাদেশে, একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে ভেতরকার খবর আগে প্রকাশ হওয়া প্রয়োজন”।
তবে তাঁর কলম শুধু অন্যান্য বিষয়ে আটকে না থেকে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের দিকেও তাক করা হয়েছে। উঠে এসেছে সভাপতি ও সাঃ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কমিটি প্রদানের নামে লেনদেনের অভিযোগ। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ধারনা করা হচ্ছে, জেলা ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড স্থগিতের।
সুশান্ত দাশগুপ্তের এই বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে আসলেও এমপি কেয়া চৌধুরীর সমর্থণ নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছে। নেপথ্যে কেয়া চৌধুরীর সমর্থন নিয়েও মুখ খুলেছেন অনেকে। এমপি কেয়া চৌধুরীর সাথে সাংসদ আবু জাহিরের সম্পর্কের অবনতির বিষয়টিও অনেকে জানিয়েছেন৷ নেপথ্যের কারিগর নিয়েও আলোচনা কমছে না৷ তাহলে হবিগঞ্জের রাজনীতিতে কি ঘটতে চলেছে? মেরুকরনের বিষয়টি কি আসবে আলোচনায়? নাকি রাজনৈতিক মতাদর্শের বিরোধই সকল কিছু৷