রাজা মিয়া বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সাম্প্রতিক দেশে ঘটে যাওয়া কয়েকটি ধর্ষনের ঘটনাকে পুঁজি করে আন্দোলনে নামে তথাকথিত বি এন পি ও জামাত শিবিরের নেতাকর্মীরা। তারা রাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশে বিক্ষোভ করে।ধর্ষনের বিচারের দাবি তুলে সরকারের সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।এছাড়া পোস্টার প্লেকার্ড ব্যানারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি কে ব্যঙ্গ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় জ্বালিয়ে দেয়। এদের এই ব্যঙ্গচিত্রের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে অসৎ উদ্দেশ্য তারা সরকার হটাতে চায়।
সারা দেশকে আবার অচল করে দেওয়ার জন্য তারা সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ধর্ষনকে পুঁজি করে।
এছাড়া সরকার এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।এ ধরনের জঘন্য অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সাথে সাথেই দীর্ঘ ৭২ ঘন্টার ভিতরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধর্ষণের মতো অপরাধে সাথে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের মুখোমুখি করে।
ধর্ষন শুধু অপরাধ নয়,মহা অপরাধ। ধর্ষকের ধর্ম নেই,নেই তাদের ভয় ভীতি লজ্জা। এদের কোনো পরিচয় নেই,পরিচয় একটাই সে ধর্ষক। এখানে রাজনীতি ঢুকিয়ে এই দল সেই দলের আখ্যা দিয়ে ভুক্তভোগীদের কে ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
এছাড়া ভুক্তভোগীদের কে নানা রকম ভয়-ভীতি দেখিয়ে বাঁচতে চাইছে অপরাধীরা।
সেখানে সরকার কিংবা সরকার প্রধানের ছবি দিয়ে ব্যঙ্গ করে মিছিল স্লোগান সমাবেশ এর উদ্দেশ্য কি? যেখানে ধর্ষকের ছবি দিয়ে মিছিল স্লোগান হবে বিচার দাবী করবে সেখানে এর বিপরীতে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দিয়ে দলীয় নাম ব্যবহার করে আন্দোলনের উদ্দেশ্য কি হতে পারে এটা নিয়ে ভাবছেন বিশ্লেষকরা।
আওয়ামী লীগ ধর্ষকের দল নয় নয় কোনো সামাজিক আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না ইতিপূর্বে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন ধর্ষকদের আদালতে টানাটানি না করে সরাসরি ক্রসফায়ারে মারা হোক।
দলের প্রতিষ্ঠাতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবদ্দশায় বলেছিলেন যে নারী ধর্ষিত হয়েছে সেই নারীর পিতার ঠিকানায় আমার নাম লেখা হোক শেখ মুজিবুর রহমান।।
আজ তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ধর্ষন, খুন চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস দুর্নীতি লুটতাজদের বিরুদ্ধে আপোষ হীন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।
কিন্তু কিছু উদ্দেশ্য প্রণীত রাজনৈতিক সংগঠন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে ধর্ষকের বিচারের নামে সরকার হটানোর পাঁয়তারা করছে।
ওরা কখনো ভালো চায় না,ওদের মতো যারা পাকিস্তানের উত্তরসূরী বংশদুত তারাই আজ ধর্ষণের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কোন কর্মী নয় একমাত্র টুকাই রাস্তা এবং বস্তির ছেলেরা রাজনৈতিক কিছু নেতার সাথে ছবি তুলে ব্যবহৃত হয়ে দলের কিছু না হয়ে ও এ-ই ধরনের কু কাজ করে যাচ্ছে।এবিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে, ধর্ষকের শাস্তি চাইবে, ন্যায্য দাবি আদায় করবে এটা কোন অপরাধ নয়, নাগরিক অধিকার। কিন্তু এর মধ্যে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায় সুযোগ সন্ধানীরা।
সারা দেশে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিন বিচার দাবি করেন,কিন্তু দেশের একজন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি অপরাধীদের বিচার এই বাংলার মাটিতে দেখতে চায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিতরা।।