যশোর জেলা প্রতিনিধি:
কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি এলাকায় কপোতাক্ষ নদে শুক্রবার বিকেলে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাগরদাঁড়ি মধুসূদন সমাজ কল্যাণ সংঘের আয়োজনে ৯ দলীয় ওই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় কেশবপুর উপজেলার গোপসেনা দল বিজয়ী হয়।
যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার প্রধান অতিথি হিসেবে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এইচ এম আমির হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম পিটু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা কেশবপুর পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মোড়ল, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত, তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিজুল ইসলাম ও ধানদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
গ্রামবাংলার ঐতিহ্য নৌকা বাইচ দেখতে শুক্রবার দুপুর থেকেই কপোতাক্ষ নদে পাড়ে আসতে শুরু করেন নানা বয়সী নারী-পুরুষ। বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হয় আকর্ষণীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। নৌকা বাইচে অংশ নেয় যশোর ও সাতক্ষীরা জেলার ৬টি দল। নৌকাগুলো কপোতাক্ষ নদে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ দেখতে কপোতাক্ষ নদে উভয় পাড়ে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করে। এ সময় নদ পাড় এলাকায় যেন মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়। বাইচের নৌকার পাশাপাশি দূর দূরান্ত থেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকা করে আসা ও ছোট ছোট নৌকায় চড়ে দর্শণার্থীরা আনন্দ উপভোগ করেন।
নৌকা বাইচে অংশ নেয়া প্রতিযোগীরা জানান, তাঁরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নৌকা বাইচে অংশ নেয়। শখের বশে মানুষকে আনন্দ দিতে তারা বাইচে অংশ নেয়। নৌকা বাইচের আয়োজক ও মধুসূদন সমাজ কল্যাণ সংঘের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র দেবনাথ জানান, গ্রামীণ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে এবং মানুষকে আনন্দ দিতেই শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়েছে। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে আগামী শারদীয় দুর্গা পূজার সময়ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করবেন বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান কপোতাক্ষ নদে নৌকা বাইচ দেখতে প্রায় ২০ থেকে ৩৫ হাজার নারী পুরুষ উপস্থিত হয়।
নৌকা বাইচ শেষে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে টেলিভিশন ও মোবাইল সেট বিতরণ করা হয়।