কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে নির্বাচনকে সামনে রেখে অবৈধ সমিতির সাইনবোর্ডে চেয়ে গেছে রাস্তাঘাট। বিভিন্ন প্রার্থীকে ভোট দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের অর্থ হাকাচ্ছে অবৈধ সমিতি গুলো। এতে করে প্রার্থীরা নানা রকম হযরানির স্বীকার হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন প্রার্থীরা বলেন নির্বাচনের কথা চিন্তা করে এসব অবৈধ সমিতির আবদার মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছি। তারা আরও বলেন একটি সমিতিতেই একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে ভোট দেয়ার কথা বলে টাকা নিচ্ছে। প্রার্থীদের সাথে কথা বলে এটাই জানা গেলযে একজন ইউপি চেয়ারম্যানের ৮০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা খরচ করতে হয়। তদরুপ একজন মেম্বারের ও ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়। সেজন্যই তৃনমূলের পছন্দের প্রার্থীরা নির্বাচনে আসতে ভয় পাচ্ছে।
এমন একজন তৃনমূলের পছন্দের প্রাথীর সাথে কথা বলে জানাতে পারলাম নির্বাচনে শুধু টাকার খেলা হয়। নির্বাচনে ভালো মানুষ,খারাপ মানুষ এখানে মূখ্য বিষয় না টাকা থাকলেই চেয়ারম্যান হওয়া যায়। বর্তমান সময়ে নির্বাচন করতে হলে শুরু থেকেই টাকা খরচ করতে হচ্ছে। দলীয় মনোনয়ন পেতে গেলে দলীয় নেতা কর্মীদের পিছনে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়। তাদের কথা যারা বেশি টাকা খরচ করবে তারাই দলীয় মনোনয়ন পাবে সেখানে তৃনমূলের কোন মূল্য নেই। দলীয় মার্কা পাওয়ার পরেও অবৈধ সমিতি ও অবৈধ লোকজনের চাহিদা মেটাতে সর্বস্থ্য হারাতে হচ্ছে দলীয় প্রার্থী ও সাধারন প্রার্থীদের। এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন ইউপি প্রার্থীরা। বিশেষ করে তারা আরও বলেন অবৈধ সাইনবোর্ড দেখিয়ে ভোট দেয়ার কথা বলে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া থেকে বিরত রাখতে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোর দাবী জানান।
বার্তা প্রেরক
আল-মামুন খান
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।
তারিখঃ২৪/১১/২০২০ খ্রিঃ
০১৭১৩৫০৮০৯৮