স্টাফ রিপোর্টারঃ নবীগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় রক্তাক্ত জখমী হযেছেন স্বামী,স্ত্রী সন্তান সহ
একই পরিবারের ৫জন৷ গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের মৃত প্রমোদ সূত্রধরের পুত্র আউশকান্দি বাজার ব্যবসায়ী শ্রমিক প্রদীপ সুত্রধর (৪৮),তার ছোট ভাই ফনি সূত্রধর (৪৫),তার স্ত্রী দ্বিপালী সূত্রধর(৩৫)কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে৷ অপর আহত শ্রমিকের স্ত্রী ও কিশোর পুত্র আউশকান্দি র,প,উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র সুদ্বীপ সূত্রধর (১৩)কে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে৷
আহত সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ওই গ্রামের রানু সূত্রধরের বাড়িতে গত বুধবার সন্ধ্যারাতে টিভি দেখতে যায় প্রদীপ সুত্রধরের পুত্র সুদ্বীপ সূত্রধর এসময় ভারতীয় টিভি চ্যানেল জি-বাংলা চলাকালীন সময সুদ্বীপ সূত্রধর চ্যানেলটি পরিবর্তন করে দেশী চ্যানেল চালু করলে রানু সূত্রধরের পুত্র রাজন সূত্রধরের সাথে তার বাকবিতন্ডা লেগে যায়৷ এনিয়ে চরম হট্রগোল দেখা দিলে পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল অনুমান ৮টায় স্কুল ছাত্র সুদ্বীপ সুত্রধরকে রাস্তাদিয়ে যাবার সময় রাজন ও তার লোকজন একা পেয়ে বেধরক মারপিট করেন৷ এসময় তার শোর চিৎকার শোনে তাকে হামলাকারীদের কবল থেকে বাঁচাতে এগিয়ে যান তার, পথচারী বাবা, চাচা সহ আরো অনেকেই৷ এসময় প্রতিপক্ষ দীগেন্দ্র সুত্রধরের পুত্র বিএনপি নেতা মিন্টু সুত্রধরের নেতৃত্বে শাওন,রাজন,জন্টু সহ একদল লোক দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র সহকারে সন্ত্রাসী হামলা করে উল্লেখিত ব্যক্তিদের রক্তাক্ত জখমী করে মারাত্মক আহত করেন,পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে নিয়ে ভর্তি করেন৷ আহত প্রদীপ সুত্রধর আরো বলেন,
তিনি তার মহাজনের আমানতকৃত ২লাখ ৫০ হাজার টাকা আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারে একটি ব্যাংকে জমা দেয়ার জন্য রাস্তা দিযে এসময় তিনি যাবার পথিমধ্যেই হামলাকারীদের রোষানলে পড়ে যান তিনি, হামলাকারীরা তাকে ধাওয়া করে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে দূর্বূত্তরা তার কাছথেকে উল্লেখিত পরিমান টাকা গুলো চিনিয়ে নিয়ে যায়৷ এব্যাপারে তিনি প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে এঘটনার দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবী করেন৷ এনিয়ে বিএনপি নেতা মিন্টু সুত্রধর এ প্রতিনিধিকে মুটোফোনে আলাপকালে জানান,তারা কেহ এই হামলার ঘটনার সাথে জড়িত নয,আহতরা নিজেরাই তাদেরকে আহত করে হাসপাতালে ভর্তি হযেছেন৷