তাহিরপুর থেকে ফিরেঃ-
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় মানসিক প্রতিবন্ধী এক পাগলী তরুণীও হলো মা! মিলছেনা পিতৃ পরিচয়। এ নিয়ে পুরো উপজেলা জুড়ে প্রশ্ন উঠেছে এই নবজাত সন্তানের বাবাকে নিয়ে। কে তার সন্তানের পিতা।
এ আলোচিত ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৩ মে) দুপুরে তাহিরপুর সদর বাজারে। সোমবার দুপুরে ওই মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জন্ম দিয়েছে এ ফুটফুটে ছেলে সন্তানের। এই নবজাতকের মাতৃ পরিচয় নিশ্চিত হলেও তার পিতার পরিচয় নিয়ে এখনো এগিয়ে আসেনি কউ। জানাও যায়নি ওই মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণীর সঠিক কোন পরিচয়ও
তবে সন্তান জন্ম পরবর্তী ওই পাগলী মা ও নবজাতক পুরোপুরি সুস্থ আছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
কিন্তু এই নবজাতকের পিতৃ পরিচয় এখনো পর্যন্ত না জানায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্নের? চলছে আলোচনা আর সমালোচনা।
এ ঘটনায় মানসিক প্রতিবন্ধী ওই তরুণীর সঙ্গে এমন অমানবিক ও বিকৃত যৌনাচারের কারণ এবং তা অনুসন্ধান করে কার্যকর ব্যবস্থার নেওয়ার দাবি উঠেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে শুরু করে সচেতন মহলে।
তাহিরপুর সদর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, মানসিক প্রতিবন্ধী অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণী চার মাস আগে থেকে তাহিরপুর বাজারে অবস্থান শুরু করে। লোকজনের কাছ থেকে যা পেতো তাই খেয়ে জীবন রক্ষা করে আসছিল। তবে দিন দিন তার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের নজরে আসে।
আজ সকালে পাগলীর প্রসব ব্যথা ওঠলে তাকে বাজার কমিটির দায়িত্বশীল লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানেই ওই নবজাতকের জন্ম হয়। বর্তমানে মা ও নবজাতক তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
তাহিরপুর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এরশাদ আলী জানান, নবজাতককে লালন-পালনে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন। কয়েকজন ওই নবজাতককে দত্তক হিসেবে নিতে চাইছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সুমন চন্দ্র বর্মন জানান, প্রসূতি ও নবজাতক দুজনই সুস্থ আছেন। প্রসবজনিত কোনো সমস্যাও নেই। মা ও শিশু আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। পরবর্তীতে প্রশাসন যেভাবে চায় সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটিকে সুস্থ রাখতে আমাদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।