লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
দীর্ঘদিন ধরে বর্তমানে বসবাসরত বাড়িটি জরাজীর্ণ হওয়ায় টিনের পুটু দিয়ে বাড়িতে বৃষ্টির পানি পড়ে। বৃষ্টির সময় জড়সড় হয়ে সবাইকে এক সাথে বসে থাকতে হয়। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, বাড়ীটি অত্যন্ত নাজুক। যে কোন মুহুর্তে বাড়ির দেওয়াল ভেঙ্গে পড়তে পারে। উনার এমন কোন টাকা নেই যা দিয়ে একটি নতুন বাড়ি নির্মাণ করতে পারবে।
বলছিলাম, চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউপির নোয়ার বিলা গ্রামের কাশেম মাষ্টারের বাড়ির মৃত মুহাম্মদ ইউনুসের স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪৩) কথা।
জীবনের শেষ কটা দিন নিরাপদ ভাবে কাটানোর জন্য একমাত্র আপনার আমার সহযোগিতার উপর নির্ভরশীল এই হাসিনা বেগম।
আলাপচারিতায় হাসিনা বেগম জানান, তার জীবনের কষ্টের নানান কথা। তার ১’মেয়ে ও ১’ছেলে রয়েছে। যদিও মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে তবে ছেলেকে আব্দুল্লাহ আলহাসান (১৭) কে নবম শ্রেণিতে লেখা পড়া করাচ্ছেন স্বপ্ন বুকে নিয়ে। হাসিনা বেগম মাঠে-ঘাটে কাজ করে যা পায়, তাই দিয়ে টেনেটুনে চলছে জোড়াতালির সংসার।
১৬ বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছে সে। এরপর শুরু হয় হাসিনা বেগমের নতুন জীবন যুদ্ধ! মাথার উপর ছাউনি পাবার যুদ্ধ। এ যুদ্ধে হাসিনা বেগমের ঘর করার জায়গা থাকলেও পারছেনা ঘর তৈরি করতে। ঘরের টাকা যোগাড় করার সংগ্রামে আজ হাসিনা বেগম পরাজিত। অঝোরে কান্নারত অবস্থায় বলেন, দয়া করি কেউ যদি একটা ঘর নির্মাণ করে দিয়ে সহযোগিতায় এগিয়ে আসে তাহলে ওই ঘরে ৫’ওয়াক্ত নামায আদায় করে সারাজীবন তার জন্য দোয়া করবো।
সম্মানীত পাঠক, হাসিনা বেগমের ঘরের আকুতির কান্নায় যেনো আকাশভারি। আপনারা সরেজমিনে এসে নিজে দাড়িয়ে থেকে হোক অথবা তার বিকাশ নাম্বারে পাঠিয়ে হোক আপনার দেয়া দানে গৃহহীন মহিলাটিকে যদি একটা ছোট্ট থাকার মতো ঘরের ব্যাবস্থা করে দেওয়া হয় তবেই জেগে উঠবে মানবতাবোধ। আসুন যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসি।
কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে যোগাযোগের জন্য। হাসিনা বেগম০১৬০৯৪০২৫৯৪
০১৮৩৭৫৮৬২৬৩ (বিকাশ)