নিজস্ব প্রতিনিধিঃঃ
সিলেটের ওসমানীনগরে প্রতিপক্ষের হুমকীতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে এক হিন্দু পরিবার। ইতোমধ্যে একাধিকবার আক্রমণের শিকার হয়েছেন উক্ত পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় এলাকার হিন্দু পরিবারগুলোর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার নিজকুরুয়া গ্রামের অঞ্জন বৈদ্যের বাড়ির মধ্যে ১ শতক জায়গা নিজেদের বলে দাবি করেন প্রতিবেশি কালাম মিয়া গংরা। এ নিয়ে বৈঠক হলে সীমানা প্রাচির ও স্থাপনা থাকায় কারণে জায়গার পরিবর্তে উপযুক্ত টাকা দেয়ার রায় দেন সালিশানরা। পরবর্তী সময়ে কালাম মিয়া গংরা মূল্য গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। এরইমধ্যে পাশের বাড়ির অপর এক ব্যক্তি উক্ত জায়গার তার বলে দাবি করেন। এ নিয়ে জামেলা সৃষ্টি হলে গত ৫ মার্চ সকালে কালাম মিয়া গংরা দাবিকৃত জায়গা দখলে নিতে অঞ্জন বৈদ্যের পরিবারের মহিলাসহ সবাইকে মারপিট ও জিম্মি রেখে সীমানা প্রাচির ভাঙচুর করে। পরে ৯৯৯ ফোন করে থানা পুলিশের সহযোগিতায় জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্তিপান অঞ্জন বৈদ্যর পরিবারের লোকজন।
এ ঘটনায় ওইদিনই অঞ্জন বৈদ্য ৯ জনকে আসামী করে ওসমানীনগর থানায় মামলা দিলে পুলিশ কালাম মিয়াকে গ্রেফতার করে। গত ৮ মার্চ সন্ধ্যার পর অঞ্জন বৈদ্য কুরুয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে কালাম মিয়ার লোকজন পথিমধ্যে তার উপর চড়াও হয়। অঞ্জন বৈদ্যের চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে অঞ্জন বৈদ্য ওসমানীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এদিকে দায়েরকৃত মামলা উঠিয়ে নিতে অঞ্জন বৈদ্যের পরিবারকে ক্রমাগত চাঁপ দিতে শুরু করে কালাম মিয়ার লোকজন। তারা অঞ্জন বৈদ্যের পরিবারের মহিলাদের প্রতি অশালীন অঙ্গ-ভঙ্গিসহ নানা ধরণের হুমকী দিতে শুরু করে। এইমধ্যে একাধিকবার অঞ্জন বৈদ্যের উপর আক্রমণের চেষ্টা চালায় তারা। সবর্শেষ গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে কুরুয়া বাজারে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে অঞ্জন বৈদ্যের উপর আক্রমণের জন্য দুর্বৃত্তরা সংঘবদ্ধ হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্বৃত্তদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। এদের মধ্যে ৩ জনকে চিনতে পারে এলাকার লোকজন। উক্ত ৩ জন হচ্ছেন অঞ্জন বৈদ্যের দায়েরকৃত মামলা আসামী হোসেন মিয়া, ছালিক মিয়া ও আঙ্গুর মিয়া।
অঞ্জন বৈদ্য বলেন, কালাম মিয়া গংরা আমার দখলে তাদের ১ শতক জায়গা রয়েছে দাবি করলে আমি সালিশানদের রায় মেনে নেই। কিন্তু মাননীয় প্রতিপক্ষ রায় না মেনে তার কাছে লক্ষ টাকা দাবি করে।
এ বিষয়ে স্হানীয় বর্তমান চেয়ারম্যান এস টি এম ফখর উদ্দিন বলেন,বিষয়টি দুঃখজনক,উভয় পক্ষের মতামত থাকলে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য আমরা আন্তরিক রয়েছি।
স্হানীয় মুরব্বি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী হিরন মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন যাবত এ সমস্যা চলছে,আমরা চেষ্টা করেছি,উভয়কেই নিয়ে মিমাংসা করার জন্য।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শ্যামল বণিক জানান তদন্ত পূর্বক অাইননানুগ ব্যবস্তা নেওয়া হবে।