মোঃ মোস্তফা জামিল, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি।
২০২০ সালের ১৮ই মার্চ থেকে শুরু হওয়া লকডাউন যেন থামতেই চাচ্ছে না মালয়েশিয়ার বুকে। কখনো সাধারণ কখনো কঠিন থেকে কঠিনতর।
এখন চলছে এম.সি.ও ৩.০
এর প্রভাবে গত মাসে ২ তারিখ থেকে কর্মহীন হয়ে আছে ৭০%-৮০% প্রবাসী। যদিও গত ১৫ মাস যাবৎ কর্ম সংকটে আছে প্রায় ৪০% এর উপরে প্রবাসীরা।
কর্ম সংকটে থাকা অবস্থায় কোন প্রকার অর্থ উপার্জন হচ্ছে না মালয়েশিয়া প্রবাসীদের। অনেকেই পরছে খাদ্য সংকটে। প্রতিদিন নতুন ভেরিয়েন্ট এ আক্রান্ত হচ্ছে ৬০০০-৭০০০ করে মানুষ। এম.সি.ও ৩.০ এর কোন সময়সীমা নেই। যতদিন না পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০০ এর নিচে নামবে ততদিন চলবে এইভাবেই।
শুধুমাত্র ফার্মেসি এবং গ্রোসারী ছাড়া আর সকল কর্মসংস্থান ই বন্ধ প্রায়। আমরা জানি না কবে শেষ হবে এই লকডাউন।
এই দেশের নাগরিকদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রনোদনা থাকলে নেই বিদেশী নাগরিকদের জন্য কোন সুব্যবস্থা। এমতাবস্থায় কর্মহীন বেশির ভাগ প্রবাসী ই দিন কাটাচ্ছে অর্ধাহারে এবং অনাহারে। এগুলো দেখার মত কেউ নেই।
তার উপর বাংলাদেশ এর সাথে মালয়েশিয়ার সকল ফ্লাইট বন্ধ থাকায় দেশেও ফিরতে পারছে না অনেক প্রবাসী। অনেকে টিকেট কেটেও টিকেট বাতিল করতে হয়েছে লকডাউন এর প্রভাবে।
এম.সি.ও ১.০ এর সময় সল্প সংখ্যক বাংলাদেশী প্রবাসী এম্বাসী থেকে কিছু সাহায্য সহযোগিতা পেলেও পরবর্তীতে আর কোন সাহায্য আসে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের জন্য।
আসবেই বা কিভাবে? দেশ থেকে আসলে তো ওনারা আমাদের দিবেন।
এ যেন এক বিভিষীকাময় অধ্যায় মালয়েশিয়া প্রবাসীদের জন্য।
বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ রাষ্ট্রীয় বাজেট থেকে কিছু অংশ প্রবাসীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার দাবী জানিয়েছিল। যা দিয়ে প্রবাসীদের এই সংকটময় সময় কিছুটা হলেও সমস্যা সমাধান করা যেত। শেষ পর্যন্ত তা আর হলো না। উপেক্ষিত রয়ে গেল সকল প্রবাসীরা।
মালয়েশিয়া বসবাসরত সকল প্রবাসীদের প্রতি আমার উদার্ত আহবান থাকবে যে বা যাহারা একটু সামর্থবান আছেন আপনার আশে পাশে থাকা কর্মহীন ভাইদের প্রতি খেয়াল রাখবেন। আমাদের সমস্যা আমাদের ই দেখতে হবে। কেউ নেই আমাদের নিয়ে ভাবার জন্য, আমার কথা শোনার জন্য। রাষ্ট্রপক্ষের কাছে আমরা যেন শুধুই রেমিট্যান্স এর মেশিন।
মহান আল্লাহ তায়লা আমাদের এই সংকটময় সময়ে ধৈর্য ধারন করার তৌফিক দান করুন।
আল মামুন
সহ সাংগঠনিক সম্পাদক,বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ।