শিরোনাম
ধর্মপাশায় সংবাদ সম্মেলন করে মোঃ আবুল বাশারের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীতা ঘোষণা মাহে রমজানের দ্বিতীয় দশ দিন মাগফিরাতের শ্রীমঙ্গলে জাতির পিতার ১০৪-তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত সালাতুত তাসবিহ গোনাহ মাফের সর্বোত্তম ইবাদাত! চুনারুঘাটে মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার সিলেটে হিন্দু রেস্তোরাঁতে ছাত্রলীগের হামলা ৭ এপিবিএন এর তৎপরতায় ৩,৫১,১৬০ টাকা ফিরে পেলেন রেমিট্যান্স যোদ্ধা ২০০ সাইক্লিং সেঞ্চুরি সম্পন্ন করলেন কুলাউড়ার ‘সুপ্রিয়’ মানব পাচার চক্রের মূল হোতা শাহীন ও সাইদুর ৭এপিবিএন এর হাতে আটক সালাম মুর্শেদী গুলশানের বাড়ি অপহরণ করেছেন;ব্যারিস্টার সুমন
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

বানারীপাড়ায় সুপারী গাছের আয়রন ব্রিজের পর এবার শুধু চারটি খুটি বসিয়ে আয়রন ব্রীজের নামে লাখ টাকা লোপাট

Coder Boss / ৩৭৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৮ জুলাই, ২০২১

জাকির হোসেন,বরিশাল প্রতিনিধিঃ

সুপারী গাছের আয়রন ব্রিজের নাম করে লাখ টাকা আত্মসাতের পর এবার শুধু চারটি খুটি বসিয়ে আয়রন ব্রীজের নামে লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার পূর্ব উদয়কাঠি গ্রামের মুন্সি বাড়ির সামনের খালে আয়রণ ব্রিজের জায়গায় সুপারি গাছের সাঁকো নির্মাণের অভিযোগে সোসাল মিঠিয়ায় তোলপার হবার পরে এবার বাইশারী ইউনিয়নের গরদ্বার গ্রামের খলিল মোল্লার বাড়ির সামনের খালে আয়রণ ব্রিজে নির্মানের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে মাত্র চারটি লোহার খুঁটি স্থাপন করে লাখ টাকা খেয়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গরদ্দার গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খলিল মোল্লা অভিযোগ করেন, তার বাড়ির সামনের খালে এলাকাবাসীর যাতায়াতের জন্য এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে বরিশাল জেলা পরিষদ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে একটি আয়রণ ব্রিজ নির্মাণের জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

জনদূর্ভোগ গোচাতে জেলা পরিষদের দেয়া আয়রন ব্রীজ নির্মান না করে ঠিকাদার শুধু মাত্র চারটি লোহার খুঁটি (পোষ্ট) বসিয়েই বরাদ্দের লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন।

দীর্ঘদিন কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় জনগনের চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় স্থানীয়রা ওই চার লোহার খুঁটির পাশে বাঁশ মেহেগিনি কাঠ, সুপারি গাছ দিয়ে সাঁকো সংস্কার করে চলাচল করছেন। বাইশারী ইউনিয়নের গরদ্বার গ্রামের খলিল মোল্লার বাড়ির সামনের খালে মাত্র চারটি লোহার খুঁটি স্থাপনের ছবি ও উদয়কাঠিতে লোহার খুঁটি ও ভিমের ওপর পাটাতনে রড-সিমেন্টের ঢালাই স্লাব ও ব্রিজের দুই পাশে লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে রেলিং দেয়ার স্থলে ইউনিয়নের পূর্ব উদয়কাঠি মুন্সি বাড়ির সামনের খালে চারটি খুঁটির ওপর সুপারি গাছের সাঁকোরর ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ওই পোস্টে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করে ও নিন্দা জানিয়ে মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ এ কাজের সঙ্গে জড়িত দুর্নীতিবাজদের চিহিৃত করে বিচার দাবি করেন। ওই সাঁকোর পাশে ঠিকাদারের লোকজন ভিত্তিপ্রস্তর ফলক স্থাপন করেছিলেন। তাতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক লাখ টাকা ব্যয়ে আয়রন ব্রিজ নির্মাণকাজ বাস্তবায়নের কথা লেখা রয়েছে। তবে ফলকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম লেখা থাকার কথা থাকলেও তা নেই। ফলকে অর্থায়নে ও বাস্তবায়নে জেলা পরিষদের কথা উল্লেখ রয়েছে। এদিকে পত্রিকায় রিপোর্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পরে দুর্বৃত্তরা রাতের আধাঁরে ভিত্তিপ্রস্তর নামফলক দুটি ভেঙ্গে ফেলেছে। এ থেকে প্রমানিত হচ্ছে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এই সকল দূর্নীতিবাজ ঠিকাদারেরা একাট্টা হয়েছে।

জেলা পরিষদের তৎকালীন প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বদলি হয়ে বর্তমানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) ঝালকাঠীর রাজাপুর উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। এ বিষয়ে তিনি বলেন, কয়েক বছর আগের কথা। ঠিকমতো সব কিছু মনে নেই। যতদূর মনে পড়ে বরিশাল জেলা পরিষদ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ওই দুই স্থানে আয়রন ব্রিজ নির্মাণের জন্য এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। এরপর যথাযথ নিয়ম মেনে দরপত্র আহ্বান করা হয়। লটারির মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই কাজ পায়। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বা ঠিকাদারের নাম মনে নেই। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) বানারীপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, নির্মাণকাজটির তদারকির দায়িত্ব পালন করেছেন জেলা পরিষদের একজন প্রকৌশলী। এখানে তার (উপজেলা প্রকৌশলী) কোনো দায়িত্ব ছিল না। তবে ছোট খালে একটি আয়রন ব্রিজ লোহার খুঁটি, ভিম ও রড-সিমেন্টের ঢালাই স্লাব দিয়ে এক লাখ টাকা বরাদ্দে নির্মাণ করা সম্ভব।

বরিশাল জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ব্রিজ-সংক্রান্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে কাজে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাইদুল ইসলামকে মুঠোফোনে (০১৭৪০৭৪৮৫৮৫) কল করা হলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। বাস্তবিক অর্থে এত বড় দূর্নীতি করে পার পেয়ে যাওয়া দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের জন্য বড়ই লজ্জা জনক বিষয়। তাছাড়া কোন ঠিকাদার কাজটি করেছে তার নাম ও কোন দপ্তর দিতে পারছে না এটা কি আসলে দূর্নীতিকে আড়াল করার চেষ্টা নাকি অদৃশ্য কোন শক্তির ইশারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন