জাকির হোসেন, বরিশাল:
বরিশালের বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ক্রমই ছোট হয় আসছে এ উপজেলার মানচিত্র। প্রতিদিন সন্ধ্যার বুকে বিলিন হয়ে যাচ্ছে নদী। তীরবর্তী অসহায় মানুষের ভিটামাটি। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও নদী সংলগ্ন দুই স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা। নদী ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষনেরর জন্য মানববন্ধন করছে। ২৪ আগষ্ট সকালে উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের বিহারীলাল একাডেমী ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে উপস্তিত ছিলেন ইলুহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, বিহারীলাল একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, মাহবুবুর রহমান, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র, বানারীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন পাইলট বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক আঃ করিম, পূর্ব ইলুহার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক বাবু সুধাংশু কুমার মন্ডল, বিহারী লাল একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাবু নরেন্দ্রনাথ বাড়ৈ, শুভ দাস
০৪ নং ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন, ০৫ নং শান্তির হাট প্রমুখ। উল্লেখ্য ইতামধ্যে উপজেলার ব্রাক্ষ্মনকাঠি, দান্ডোয়াট, ধানহাটখোলা, শিয়ালকাঠী, বাংলাবাজার, নলেশ্রী, মসজিদ বাড়ী, দাসেরহাট, কালির বাজার, চাউলাকাঠি, বাসার, গোয়াইলবাড়ি গ্রামের বহু বসত বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি, মসজিদ, মন্দির নদী গর্ভে বিলীন হয়ছে। ভয়াল সন্ধ্যার ভাঙ্গনে বহু পরিবার তাদের শেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে এখন নিঃশ্ব। কারন হিসেবে দেখা যাচ্ছে সন্ধ্যা নদী থেকে অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন করায় প্রতিনিয়ত সন্ধ্যার ভাঙ্গন বেড়েই চলছে। জানাগেছে এ জনপদের বালু ব্যাবসায়ীরা নিয়ম বর্হিভূত বালু উত্তোলন করায় নদীর গতি পথ পাল্টে নদীর দুই পাড় ভাঙ্গনে তীব্র আকার ধারন করছে। এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা সন্ধ্যা নদীর ইজারা বর্হিভূত এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ফলে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। ভাঙ্গন কবলিতরা জানিয়েছেন সন্ধ্যার ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলও ভাঙন রোধে সরকারী উদ্যোগ না থাকায় তাদের হতাশা বেড়েই চলছে। এ অবস্থায় তারা সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। এ দিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোঃ শাহ আলম’র পক্ষ থেকে সন্ধ্যা নদীর ভাঙন কবলিত কয়েকটি স্থান বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।