বরিশাল প্রতিনিধি:
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় পৈত্রিত সম্পত্ত্বি ও ক্রয়কৃত সম্পত্বি থেকে মালিককে দূরে রাখতে নিকৃষ্টতম পথ বেছে নিয়েছে আবু হাওলাদার। সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নরোত্তমপুর গ্রামের আবু হাওলাদার’র বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ করেন জমির মালিক ফিরোজ সরদার। আশ্রিত আবু হাওলাদার পরের জমিকে নিজের ভোগ দখলে রাখার জন্য পুত্র বধূকে দিয়ে জমির মালিকের ভাই বানারীপাড়া থানায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ফারুক সরদার’র বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক শ্লীলতাহানীর অভিযোগ দায়ের করেছে। সরে জমিন তদন্ত এবং ফারুক সরদারের বক্তব্য অনুযায়ী আবু হাওলাদার পুত্র নাঈম হাওলাদার সহ তার স্ত্রী ও মা যে ঘরে বসবাস করে সেই জায়গার ২.১৫ শতাংশের মালিক মালিক আবু হাওলাদারের ভাই গনি হাওলাদার। বাকী সম্পত্ত্বির পূর্ব হতেই মালিক ফিরোজ সরদার নিজে। গনি হাওলাদার তার২.১৫ শতাংশ জমি ফারুক সরদারের ছোট ভাই ফিরোজ সরদারের কাছে বিক্রি করে দেয়। যা গত ১২/০৪/২১ তারিখ ক্রয়মূলে দলিল সম্পন্ন হয়। তখন ঐ জায়গায় আবু হাওলাদারের নির্মিত ঘর ছিল যা বাজার দাম অনুযায়ী আবু হাওলাদারেকে ২ লাখ টাকা পরিশোধ করেন ফিরোজ সরদার । যার দলিল হয় ১৬/০৮/২১. যার স্বাক্ষী আবু হাং ছেলে নাঈম হাং,জামাই আলামিন এবং স্থানীয় খালেক হাং, চাখারের দলিল লেখক মহসিন সরদার ও মামুন সরদার। পরবর্তীতে আবু হাওলাদার তার পরিবার পরিজন নিয়ে ঝালকাঠি জেলায় জায়গা ক্রয় করে আর সেই দলিলের স্বাক্ষী হিসেবে রয়েছে ফারুক সরদার।অথচ এলাকার এক ভূমি দস্যুর আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে এবং কালো টাকার প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে আবু হাওলাদারও তার পরিবার পরিজন ফিরোজ সরদারের জায়গা দখল করে রাখার মানষিকতায় এই নিকৃষ্টতম পথ বেছে নিয়েছে। উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার (২৩সেপ্টেম্বর) সকালে ফিরোজ সরদার নাঈমদের ঘর ছেড়ে দেয়ার কথা বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘর ছাড়তে অপরাগতা জানায়। যদিও এর আগে কয়েকবার ঘর ছাড়তে বললেও এলাকার কুলাঙ্গারের কালো টাকার প্রভাবে এবং সাহসে নাঈম ঘর না ছেড়ে বরং তাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। ফিরোজ সরদার জানান, সেই হুমকি থেকেই নাঈম ইসলাম তার বড় ভাই ফারুক সরদারের বিরুদ্ধে শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্ত্রীকে বাদী করে বানারীপাড়া থানায় শ্লীলতাহানীর লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কেবলমাত্র জায়গা ও ঘর ছাড়বেনা বলেই তাদেরকে অহেতুক হয়রানী করছে এদিকে জানা গেছে, নাঈম ইসলামের স্ত্রীর সম্প্রতি সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান হয়েছে। এ ধরণের একজন সদ্য প্রসূতির শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয় ফারুক সরদার দাবী করেন যে দিন উল্লেখ করে অভিযোগ দেয়া হয়েছে সে দিন নাঈমের স্ত্রী তার নানার বাড়ি নদীর পশ্চিম পারে ছিল। ঘটনার দিন শুক্রবার নানা বাড়ি থেকে এসে থানায় অভিযোগ দেয় অথচ সে দিন সে বানারীপাড়ার তার স্বামীর বাড়ি ছিলই না। শুধু মাত্র সম্পত্তির বিরোধকে পুজি করে অসৎ উদ্দেশ্যে এ অভিযোগ করা হয়েছে বলে ও ফারুক সরদার দাবি করেন।