শিরোনাম
জৈন্তাপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী’র স্টল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান  রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যাণে ইমামগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন-জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান ছাতকে সেবা ব্লাড ফাউন্ডেশন ইসলামপুর ইউপি’র উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ৮৮,০০০ টাকার জাল নোটসহ চুনারুঘাটের ‘জামাল মিয়া’ গ্রেফতার বছর ঘুরে আইলো আবার ‘বৈশাখ’ জৈন্তাপুর প্রবাসী গ্রুপ কাতার শাখার ঈদ আনন্দ ভ্রমণ বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি গঠন আবুল কালাম আহবায়ক, ফিরোজ সদস্য সচিব ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছে জুবায়ের আহমদ মনি তালুকদার ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী জুবের লস্কর
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

প্রথিতযশা চলচ্চিত্র শিল্পী ‘সুমিতা দেবী’-র ১৮তম মৃত্যু বার্ষিকী।

Satyajit Das / ২৪২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২২

সত্যজিৎ দাস(স্টাফ রিপোর্টার):

বাংলাদেশের প্রথিতযশা চলচ্চিত্র শিল্পী ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একজন সক্রীয় কর্মী ছিলেন সুমিতা দেবী। ১৯৩৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন সুমিতা দেবী। তখন তাঁর নাম ছিল হেনা ভট্টাচার্য্য। অমূল্য লাহিড়ী নামীয় এক ব্যক্তির সাথে তার বিয়ে হলেও পরবর্তীকালে তাদের মধ্যে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশের পর বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম পথিকৃৎ ও প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী জহির রায়হানের সাথে পরিচিত হন। সুমিতা দেবী পরবর্তীকালে ধর্মান্তরিত হন ও তার নতুন নামকরণ হয় নিলুফার বেগম। অতঃপর তিনি জহির রায়হানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ১৯৬১ সালে। তাদের সংসারে দু’টো পুত্র সন্তান রয়েছে। অনল রায়হান তাদেরই একজন। বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার ফতেহ লোহানী কর্তৃক আসিয়া ছবিতে নাম পাল্টিয়ে সুমিতা দেবী রাখা হয়েছিল। বিয়ের পরও চলচ্চিত্র শিল্পে পূর্বের সুমিতা দেবী নাম নিয়েই পরিচিত ছিলেন। ২০০০ সালে তিনি আশিক মোস্তফা পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ফুলকুমার ছবিতে সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন।

১৯৫০ দশকের শেষ দিকে সুমিতা দেবী ঢাকার চলচ্চিত্র শিল্প বা ঢালিউডের অন্যতম নায়িকা ছিলেন। আসিয়া ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র জীবনের শুভ সূচনা ঘটে তার। তার পরবর্তী ছবি ছিল আকাশ আর মাটি। উভয় ছবিরই পরিচালক ছিলেন ফতেহ লোহানী। সুমিতা দেবী উক্ত ছবির নাম ভূমিকায় অসামান্য অভিনয় করে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। আসিয়া ছবিটি ১৯৬০ সালের শ্রেষ্ঠ বাংলা চলচ্চিত্র হিসাবে প্রেসিডেন্ট পদক লাভ করেছিল।

সুমিতা দেবী তার চলচ্চিত্র জীবনে প্রায় চার দশক কাল সময় অতিবাহিত করেছিলেন। নায়িকার প্রধান চরিত্রে অভিনীত চলচ্চিত্রের সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশটি। বাংলা ছবির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি উর্দু ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়াও, শতাধিক চলচ্চিত্রে সহ-নায়িকা কিংবা পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। স্মরণীয় চলচ্চিত্র হিসেবে সুমিতা দেবী এ দেশ তোমার আমার ছবিতে অভিনয় করেন। ছবিটি ১৯৫৯ সালের যা আসিয়া ছবির পূর্বে মুক্তি পায়। কখনো আসেনি, সোনার কাজল, কাঁচের দেয়াল, এই তো জীবন, দুই দিগন্ত, বেহুলা, আগুন নিয়ে খেলা, অভিশাপ, ওরা ১১ জন, সুজন সখী, আমার জন্মভূমি ইত্যাদি তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।

তাঁর দীর্ঘ অভিনয় জীবনে বাংলাদেশ বেতার (সাবেক রেডিও বাংলাদেশ), বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং মঞ্চ নাটকেও সমান তালে অংশগ্রহণ করেছেন। চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে সুমিতা দেবী ৫টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। সেগুলো হলো – আগুন নিয়ে খেলা, মোমের আলো, মায়ার সংসার, আদর্শ ছাপাখানা এবং নতুন প্রভাত।

সুমিতা দেবী ওরফে নিলুফার বেগম ২০০৪ সালের ০৬ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন