কুলাউড়া মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
চাকরি যেখানে সোনার হরিণ। চাকরির খোঁজে হতাশ লাকো শিক্ষিত যুবক, সেখানে এমনও ব্যাক্তির খোঁজ পাওয়া যায় যিনি এখাই করেন তিনটি চাকুরী।
বলছি অদ্য উঠে আসা অভিযুক্ত ব্যাক্তি কাজী রফিকুল ইসলামের কথা।
তিনি কুলাউড়া থানার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের দারুচ্ছুন্নাহ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার রবির বাজারের সরকারি ইন্ডেক্সদারি নাম্বার ( S 2003221) অফিস সহায়ক হয়েও সদ্য এমপিও অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের সহ সুপার, একি সাথে ১২ নং পৃথিমপাশা ইউনিয়নের কাজীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
উক্ত বিষয়ের তদন্তে নেমে বেড়িয়ে আসে আরো নানান খবর।
জানা যায় আপন চাচাতো ভাইয়ের সম্পদ হাতিয়ে নিয়ে এখন স্থানীয় রবিব বাজারে বিলাশ বহুল জীবন যাপন করছেন তিনি।
চাচাতো ভাই সংবাদ মাধ্যমকে জানান এমন মানুষের মুখুশ খুলতে যতটুকু দরকার আমি আপনাদের সাহায্য করবো।
এছাড়াও আরো নানা অভিযোগ করেন কাজী রফিকুল ইসিলামের উপর।
কাজী রফিকুল ইসলাম এর কলিগদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে উত্তর শুনে সংবাদ মাধ্যম অভাক।
জানা যায় তিনি মাদ্রাসার লক্ষ লক্ষ টাকা মিথ্যা বাউচার আর নানা কায়দায় হাতিয়ে নিয়েছেন। তাছাড়া মাদ্রাসায় যে কোনো বিষয়ে তিনি সমস্যার সৃষ্টি করেন। কেউ প্রতিবাদ করলে উক্ত ব্যাক্তিকে নানা উপায়ে অপমান, সহ চাকরি খাওয়ার ও হুমকি প্রদান করেন।
অভিযুক্ত ব্যাক্তির সম্পর্কে মাদ্রাসা প্রধান আব্দুল জব্বার সাহেব বলেন কোনোদিনই ঠিকমত দায়িত্ব আদায় করতো না। তাকে এ বিষয়ে কথা বললে ম্যানেজিং কমিটির সহায়তায় উল্টো মাদ্রাসা প্রধানেও কয়েকবার বিপদে ফেলেছেন কাজী রফিক।
ছাত্রদের কাছ থেকে আরো জানা যায় নানা সময় জারিমানা,ভর্তি ফি,পরিক্ষার ফি, বাবদ অতিরিক্ত টাকা নিতেন অভিযুক্ত অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম।
এমন নানা অভিযোগের পর প্রশ্ন আসে কেউ প্রতিবাদ করেন না কেনো। এতো দিন কেউ কোন কথা বললনা কেনো।
যেই প্রশ্ন ছিলো আমাদের মনেও।
উত্তর খোঁজে জানা যায় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহলের চতর ছায়ায় থাকেন তিনি।
কেউ সামান্য প্রতিবাদ করলে তিনি প্রভাবশালী মহলের সাহায্যে নানান ভাবে প্রতিবাদি ব্যাক্তিকে দমিয়ে রাখেন অভিযুক্ত ব্যক্তি।
তার এমন সব অপকর্ম আর দুর্নীতির বিরোদ্ধে মুখ খুললেন বর্তমানে রবিরবাজারের বিশিষ্ট দুই ব্যাবসায়ী মোঃ ফরিদ উদ্দিন ও মোঃ মোশাহিদ আলী। উভয়ই জানান অভিযুক্ত ব্যাক্তির এমব সব দুর্নীতি বিরুদ্ধে প্রশাসন সহ সরকারি সকল সহযোগিতা চান। এবং উক্ত ব্যাক্তির এই বিষয় গুলোর সুষ্ঠ তদন্তের আহবান জানান।