শিরোনাম
আমার কাজের প্রতি চুনারুঘাটবাসীর আস্থা আছে; ব্যারিস্টার সুমন দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার অমিত দাস শিবুর মরদেহ উদ্ধার তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে পুনাকের বার্ষিক বনভোজন উদযাপন জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড ও মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত জৈন্তাপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী’র স্টল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান  রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যাণে ইমামগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন-জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান ছাতকে সেবা ব্লাড ফাউন্ডেশন ইসলামপুর ইউপি’র উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ৮৮,০০০ টাকার জাল নোটসহ চুনারুঘাটের ‘জামাল মিয়া’ গ্রেফতার বছর ঘুরে আইলো আবার ‘বৈশাখ’ জৈন্তাপুর প্রবাসী গ্রুপ কাতার শাখার ঈদ আনন্দ ভ্রমণ
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

রোজাদারকে ইফতার করানো অত্যন্ত সওয়াবের কাজ

হাফিজ মাছুম আহমদ,( দুধরচকী) / ২২৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩

সিলেট নিউজ ডেস্কঃ 

রোজাদার সূর্যাস্তের পর যে পানাহারের মাধ্যমে রোজা ভাঙে তাকে ইফতার বলে। রমজানের অন্যতম সুন্নত হলো ইফতার। ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা উত্তম। এ ছাড়া ইফতার সামনে নিয়ে যে দোয়া করা হয়, সেই দোয়া মহান আল্লাহর দরবারে গুরুত্বের সঙ্গে কবুল হয় বলে হাদিস শরিফে উল্লেখ রয়েছে।
খেজুর বা খুরমা দিয়ে ইফতার করা সর্বাপেক্ষা উত্তম। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে যেকোনো মিষ্টিজাতীয় বস্তু দিয়ে ইফতার করা ভালো। আর যদি এটাও সম্ভব না হয় তাহলে যেকোনো হালাল খাদ্য দিয়ে, এমনকি শুধু পানি দিয়েও ইফতার করা যায়।

রাসুলে করিম (সা.) এরশাদ করেছেন, তোমরা যখন ইফতার করো, তখন খুরমা বা খেজুর দিয়ে ইফতার করো, কেননা খুরমা বা খেজুরের মধ্যে বরকত রয়েছে, আর যদি খুরমা বা খেজুর পাওয়া না যায়, তাহলে পানি দিয়ে ইফতার করা ভালো, কেননা পানি পবিত্রকারী। হাদিসে পানিমিশ্রিত দুধ দিয়ে ইফতার করার হুকুমও বর্ণিত রয়েছে।

পবিত্র এই মাসে আল্লাহর বান্দারা পারস্পরিক উত্তম আমলের প্রতিযোগিতা করে। রোজাদারকে ইফতার করানোও অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। আল্লাহর রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে সে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। এবং রোজাদারের সওয়াবও কমানো হবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৮০৭)

সাহাবায়ে কেরাম এ কথা শুনে বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমাদের অনেকেরই রোজাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, পানিমিশ্রিত এক কাপ দুধ বা একটি শুকনো খেজুর অথবা এক ঢোক পানি দিয়েও যদি কেউ কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তাতেও আল্লাহ তাকে সেই পরিমাণ সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে তৃপ্তিসহকারে আহার করাবে, আল্লাহ তাআলা তাকে আমার হাউসে কাউসার থেকে এমন পানীয় পান করাবেন, যার ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করার আগ পর্যন্ত তৃষ্ণার্ত হবে না।

খাবার খাওয়ানোর ইবাদতের মাধ্যমে আরও অনেকগুলো ইবাদত পালিত হয়। নিমন্ত্রিত ভাইদের সাথে হৃদ্যতা ও ভালোবাসা। যে হৃদ্যতা ও ভালোবাসা জান্নাতে প্রবেশের কারণ। যেমনটি নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ঈমান আনা ছাড়া জান্নাত যেতে পারবে না। আর পারস্পারিক ভালোবাসা ছাড়া তোমাদের ঈমান হবে না।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫৪) মহান আল্লাহ পাক যেন মুসলিম উম্মাহকে উপরোক্ত কথা গুলোর উপর আমল করার তাওফিক দান করেন, আমিন।

লেখক : বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  

বিভাগের খবর দেখুন