জৈন্তাপুর প্রতিনিধি: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পশ্চিম ঠাকুরের মাটি কবরস্থান হতে জয়নালের বাড়ি পর্যন্ত(কাচা) রাস্তার মাটির কাজে নয়-ছয়ের অভিযোগ ওঠেছে। নামে মাত্র কাজ করেই হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বরাদ্দের টাকা এমন অভিযোগ উঠেছে প্রকল্পের সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মকবুল আলী মঙ্গলের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, সিলেট ৪- আসেনর সাংসদ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী , ইমরান আহমদ এমপি ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) কর্মসূচীর আওতায় (২য় পর্যায়) অর্থের বিশেষ বরাদ্দের বিপরীতে ১ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয় হয় চিকনাগুল ইউনিয়নের পশ্চিম ঠাকুরের কবরস্থান হতে জয়নালের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাট কাজের জন্য।
কাজে অনিয়মের অভিযোগ এনে (গত ৬ আগস্ট) জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী।
এবিষয়ে চিকনাগুল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব উদ্দিন জানান রাস্তাটির কাঁচা অংশের শুরুতে রাস্তার দু’পাশ থেকে কিছু কিছু মাটি তুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ঘাস ও ঝোপঝাড় পরিস্কার করে নতুন মাটির কাজ বুঝানো হয়েছে। এছাড়া সরকার নিষিদ্ধ টিলার লাল মাটি দ্বারা ২/৩টি স্থানে কিছু পরিমাণ মাটির কাজ হলেও অধিকাংশ রাস্তায় লোক দেখানো মাটি ফেলা হয়েছে। যে পরিমাণ বরাদ্ধ তা দিয়ে কাজ করলে রাস্তাটি অন্তত: ২ থেকে ৩ ফুু ট উঁচু ও ৮ থেকে ১০ ফুট চওরা থাকতো।
রাস্তাটির কাজ সরকারি ইস্টিমিট অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না মর্মে মকবুল আলীকে জানলেও বিষয়টি তিনি আমলে নেননি। চিকনাগুল
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী বলেন, আওয়ামী লীগের নামে এখানে সরকারি বরাদ্ধ নয়-ছয় করা হয়েছে। তারা বর্তমান সরকারের ভাবর্মূতি বিনষ্ট করেছে। বরাদ্ধ অনুযায়ী কাজ হলে এলাকায় বর্তমান সরকারের আরো জয়-জয়কার হত। সেখানে উল্টো সরকারের বদনাম হচ্ছে। আমরা অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করার দাবি করছি।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল আলী মঙ্গল বলেন, আমি বরাদ্ধ অনুযায়ী কাজ করতে চেষ্টা করেছি, স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু সংখ্যক লোক বিএনপির সাথে মিলে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)মোঃ মিজান জানান অভিযোগ পেয়ে রাস্তার কাজ পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ কারীদের নিয়ে আবারও পরিদর্শন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি আমি পিআইও কে বলেছি সরজমিনে তদন্ত করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।