ডেস্ক রিপোর্ট : গোলাপগঞ্জে নির্বাচনী জের ধরে প্রতিপক্ষের উপর হামলার আসামি সেলিম আহমদ সিলেট-৬ আসনের এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদের সাথে বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করছেন। মামলার আসামি হয়ে এমপি’র সাথে প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন মামলার বাদির পরিবার। তারা আসামিদের বিচার দাবি করেন।
জানা যায়, গতকাল গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারে ৮ দিনের সফর শেষ করে ঢাকায় ফিরে গেছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি। সফরকালে আসামি সেলিম আহমদকে এমপি’র সাথে বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। কিন্তু এমপি নাহিদ ভুক্তভোগীদের খুঁজ নেননি। বরং আসামিকে তার বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। যে কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বাদি পক্ষের পরিবার। এছাড়াও সেলিম আহমদ বিগত ইউনিয়ন নির্বাচনে তার পক্ষে কাজ না করায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা সম্পাদিকা আংগুরা বেগমের পরিবার ও শিক্ষক মনির উদ্দিনের পরিবারকে বিভিন্ন সময় হুমকি ধমকি প্রদান করে আসছে। সেলিম আহমদ প্রতিপক্ষের উপর হামলা করে জেল কেটেছেন বিষয়টিও বিভিন্ন গণমাধ্যম উঠে আসে।
এদিকে ভুক্তভোগী পরিবার আইনের কাছে হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জের ধরে প্রতিপক্ষের উপর গত (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টা ও পোনে ১১টার দুই দফা উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সামনে ও আসামিদের বাড়ির সামনে হামলার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের নগর দত্তরাইল গ্রামের মৃত জোয়াইদ আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ বাদি হয়ে গত ২৭ এপ্রিল সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি (সি.আর মামলা নং- ১৫১/২০২৩ইং) দায়ের করেন যা পরবর্তীতে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার (মামলা নং- ২৬, তাং-২৯/৪/২০২৩ই)। মামলায় ৯ জনের নামোল্লেখ করে আর ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। ওই মামলার ঘটনায় গত (২০ জুন) সিলেটের নিম্ন আদালতে আসামিরা জামিন চাইতে গেলে আদালত আসামি ৪ জনকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। কারাগারে প্রেরণকৃত আসামিরা হলেন- দক্ষিণ রায়গড় দিঘীরপাড় গ্রামের মৃত শওকত আলীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য সেলিম আহমদ (৫০), তার ভাই এমরান আহমদ (৩০), ফয়াজ আলীর ছেলে জাবেদ আহমদ (১৯) ও সেলিম আহমদের ছেলে সায়েম আহমদ (২০)।