সিলেট নিউজ ডেস্ক :
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উপরগ্রাম পশ্চিম পাড়া প্রধান রাস্তায় একটি ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজের উপর দিয়ে প্রতিদিন পার হচ্ছে শতশত পথচারী, স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও যানবাহনসহ গবাধি পশু। গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে এ ব্রীজটি অবস্থিত হওয়ার কারনে বিকল্প কোন রাস্তা দিয়ে জনসাধারনের চলাচল সম্ভব নয়। ব্রীজের ঠিক দিয়ে ৩-৪ গ্রামের মানুষের হাদারপার বাজারের যাতায়াত একমাত্র মাধ্যম ।
ব্রীজটির দুই পাশের রেলিং সহ ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রীজের উপর দিয়ে স্কুল -কলেজ, মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থী,গবাধিপশু ও গ্রামের সর্বস্তরের জনসাধারণ ছাড়াও এলাকার লোকজন যানবাহন নিয়ে যাতায়াত করে প্রতিনিয়ত। ।সরেজমিনে দেখা যায়, মরণ ফাঁদ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে এই ব্রীজ। যে কোন সময় স্কুলগামী ছোট শিশুদের প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছ সর্বপরি গ্রামের প্রধান রাস্তার এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি দ্রুত পূর্ন নির্মান না হলে যে কোন সময় অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। স্হানীয় সূত্রে জানা যায় ২০১৪ সালে রুস্তমপুর ইউপি তৎকালীন চেয়ারম্যান জনাব আবুল কালাম আজাদ সাহেব ও ঐসময়ের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার জালাল উদ্দীন(বর্তমান মেম্বার) সাহেব ব্রিজটি নির্মাণ করেছিলেন।ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ৮-৯ বছরের মধ্যেই ব্রিজটি ধ্বংসের দিকে, সরজমিনে জানা যায়, গ্রামে কিছু লোক ব্যাক্তি ইটবহরে গাড়ি নেওয়ায় এই ব্রিজটি তারাতারি ভেঙেছে। তাছাড়া ব্রিজটি নির্মানের পরপরই ঝুকিপূর্ণ ছিল,কারন ব্রিজটিতে রেলিং এর ব্যবস্থা ছিলনা যার ফলে শিশু এবং বৃদ্ধদের জন্য দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা ছিল বেশি বর্তমান চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন সাহেব রেলিং ব্যবস্হা করেন।কিছুদিন পূর্বে ব্রিজটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার জোয়ার উঠেছিল।এখন পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষথেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।গেল বন্যার পানির ধাক্কায় ব্রিজটি বিলীন হয়ে গেছে ।তবে স্হানীয় গ্রামবাসী উদ্যোগে গাছ দিয়ে একটি কালবাট করেছেন কিন্ত সেটিও ভঙ্গুর হয়ে গেছে, যেকোনো মূহুর্তে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। স্হানীয়দের দাবি অতিদ্রুত এই ব্রীজটি পূর্ণ নির্মান করা হয়, এতে করে কয়েক’শ পরিবার যোগাযোগ ব্যবস্হা দূর্ভোগ থেকে কমবে।