পবিত্র দেব নাথ মাধবপুর প্রতিনিধিঃ-
মাধবপুরে আপত্তিকর ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১ টার দিকে মাধবপুর থানার ধর্মঘর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভিকটিম বাদী হয়ে মাধববপুর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ দুইজনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন, মাধবপুর থানার সুলতানপুর গ্রামের জারু মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (৩৬), ইদ্রিছ আলীর ছেলে জজ মিয়া (৩৫)। মামলার আরেক অভিযুক্ত বৈষ্ণবপুর গ্রামের ফালু মিয়ার ছেলে মাজহারুল ইসলাম (৩০) পলাতক ছিলো।
(০১ অক্টোবর) দর্ষণমামলার মূল হোতা পলাতক মাজহারুল ইসলাম বিদেশে যাওয়া জন্য ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে বিমানবন্দর পুলিশ থাকে আটক করে। পরে মাধবপুর থানাকে জানানো হলে মাধবপুরের কাশিমনগর পুলিশফাড়ির পুলিশ ইন্সপেক্টর মোঃ মোস্তফা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঢাকা বিমানবন্ধর থানা থেকে আসামি মজহারুল নিয়ে আসে।
মামলার লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর (৩৯) স্বামী ওমানে থাকেন এবং তিনি তার সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করেন।
অভিযুক্ত মাজহারুল ইসলাম কৌশলে ভিকটিমের একটি আপত্তিকর ছবি উঠিয়ে সেই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিল।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে মাজহারুল ওই নারীর বাড়ীতে তার বন্ধু ফারুক ও জজ মিয়াকে সাথে নিয়ে প্রবেশ করে। পরে ফারুক ও জজ মিয়া ভিকটিমকে বাড়ির পাশে নিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে মুখ খুললে তাকে ও তার ছেলে মেয়েদের হত্যা করা হবে এবং ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা।
এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার ওসি রকিবুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে মাধববপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আমরা দুইজন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছিলাম । দর্ষণমামলার মূল হোতা মাজহারুল ইসলাম পলাতক ছিলো আজ বিকালে ঢাকা আন্তর্জাতিক শাহজালাল বিমানবন্দর থানার পুলিশ থাকে আটক করেছে খবর পেয়ে কাশিমনাগর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মোস্তফাকে পাঠিয়ে মজহারুল কে আনা হয় মাধবপুর থানায় । ভিকটিম এর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলেও ওসি জানিয়েছেন।