আল-মামুন খান, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
রোপা-আমন মৌসুমে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে আমন ধানের আবাদি বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ চারিদিকে সবুজের সমারোহে ঘেরা। দূর থেকে দেখে মনে হয়, আমন ধানে সবুজ শীতল পাটিতে বিছিয়ে রেখেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সমতল ও অসমতল ভূমি। মৃদু হাওয়ায় ধানের সবুজ চারার গায়ে লেগে হেলেদুলে নাড়া দিচ্ছে। যেদিকে তাকানো যাচ্ছে, সেই দিকেই সবুজের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। সবুজ ধানে প্রকৃতি অপরূপ সাজে সেজেছে। আশ্বিনের নির্মল আকাশ ও সবুজের সমারোহে এ ধরা যেন নতুন রূপে আবির্ভূত হয়েছে।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে ধানের হাইব্রিড বীজ দেওয়ায় চলতি মৌসুমে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে সাত হাজার ৫শত ৫৫
হেক্টর জমিতে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অর্জিত হয়েছে সাত হাজার ৭শ’ হেক্টর জমি।
গত বছর রোপা-আমন ধানের আবাদ ছিল সাত হাজার চারশত ৩৫ হেক্টর জমি।
সরেজমিনে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবছর জমিতে তারা বিনা সেভেন ৮, হাইব্রিড বিধান -৭ ,২৮ ,২৯ ,৪৯, ৫২, বায়ার কোম্পানির ধানী গোল্ড, তেজ ও পেট্রোকেম কোম্পানির পাইওনিয়ার এগ্রো-১২ জাতের ধান রোপণ করছেন।
উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের আবদুল কাইয়ূম, লিটন মিয়া, মতি মিয়া, আবুল কালাম,
আবুল কাশেম সহ অনেকেই জানান, বাজারে ধানের দাম অধিক থাকায় এবছর বেশি আমন ধান আবাদ করেছি। তারা আরো জানান, আমরা জমিতে ব্রি-হাইব্রিড জাতের ধানসহ অন্য ধান রোপণ করেছি।
তাড়াইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ
সুুুমন কুমার সাহা জানান, চলতি মৌসুমে ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষক। তবে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন রোপণ হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিতে প্রান্তিক কৃষকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।
বার্তা প্রেরক
আল-মামুন খান
জেলা প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ