সিলেট নিউজ ডেস্ক :
স্টাফ রিপোর্টারঃ দুর্যোগ ঝুঁকি শনাক্তকরণ, পরিমাপণ এবং কমানোর একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যবস্থা। এর লক্ষ্য আর্থ-সামাজিক দুর্যোগজনিত দুর্বলতাকে কমানো। এছাড়াও এটি পরিবেশগত এবং অন্যান্য ঝুঁকি মকাবেলার চেষ্টা করে, যেগুলো পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলে। এই নিবন্ধে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস মধ্য ৭০ এর দশকে প্রকাশিত পরিবেশ দুর্বলতার উপর ব্যাপকভাবে চালানো গবেষণার দ্বারা প্রবলভাবে প্রভাবিত হয়েছে। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস দুর্যোগ ও ত্রাণ সংস্থা এবং এধরনের যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে তাদের দায়িত্ব। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এককালীন-প্রকল্প বা পার্শ্ব-প্রকল্প না হয়ে, এধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে তার অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়া উচিৎ। DRR এর পরিসর অনেক বিস্তৃত: এর কাজের ক্ষেত্র প্রচলিত জরুরী ব্যবস্থাপনার চেয়েও অনেক প্রশস্ত এবং গভীর। উন্নয়ন এবং মানবিক কর্মকাণ্ডের প্রতিটি শাখায় DRR এর ব্যাপারে উদ্যোগের সুযোগ রয়েছে। ধৌত ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর মধ্যে UNISDR (জাতিসংঘ দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস দপ্তর) এবং UNDP (জাতিসংঘ উন্নয়ন কার্যক্রম)এর সংজ্ঞাটি DRR এর সবচেয়ে সাধারণ উদ্ধৃত সংজ্ঞা। সংজ্ঞাটি হলো: “টেকসই উন্নয়নের বিস্তৃত প্রেক্ষাপটের মধ্যে বিপদের প্রতিকূল প্রভাব এড়ানো (বাঁধা দেয়া) বা কমানোর (প্রশমন এবং প্রস্তুতি) জন্য ধারনাগত কাঠামোর উপাদান বিবেচনায় সমাজ জুড়ে পরিবেশগত দুর্বলতা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর সম্ভাবনা। মাছ চাষ এবং কৃষি সংশ্লিষ্ট কাজে সংঘটিত ও সম্ভাব্য ঝুঁকিসমূহের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রশমনের লক্ষে মৎস্য অধিদপ্তর এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাস্তবায়নে ”কমিউনিটি বেইজড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ” প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। জুড়ী উপজেলার রিসোর্স সেন্টারে সোমবার থেকে দুদিন ব্যাপী এ কর্মশালা শুরু হয়।
কর্মশালার প্রথম দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শাহনেওয়াজ সিরাজী। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ন্যাশনাল ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অ্যান্ড ট্রেনিং এক্সপার্ট কিংকর চন্দ্র সাহা, ন্যাশনাল মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন স্পেশালিষ্ট হেনা বাড়ৈ, ন্যাশনাল কমিউনিটি ম্যানেজম্যান্ট স্পেশালিষ্ট জিয়াউল হক, ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর ড: শফি উল্লাহ্ প্রমুখ। কর্মশালায় জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ৩০ জন সিবিও প্রতিনিধি (১৪ জন পুরুষ ও ১৬ জন নারী) অংশগ্রহণ করেন।