বিশেষ প্রতিনিধি:
সিলেটের হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল ইউনিয়নের করাঙ্গী নদী থেকে উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দী সেই মরদেহটি হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের। সাইফুল ইসলাম বাহুবল উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের আব্দুল মালিকের ছেলে।
গতকাল রবিবার (০৩ মার্চ) পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি শনাক্ত করেন। পরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে গত শনিবার (০২ মার্চ) সদর উপজেলার পইল ইউনিয়নে করাঙ্গী নদীর হুরুমোড়া হাওরের গাতাবের এলাকায় বস্তাবন্দী মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
সাইফুল ইসলাম বাহুবল উপজেলার ৩নং সাতকাপন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও রাসুলপুর গ্রামের আব্দুল মালেক সাহেবের পুত্র।
রবিবার (০৩ মার্চ) আসরের নামাজের পরে তার নিজ গ্রাম রসুলপুর তার বাড়ীর সামনে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। বাহুবল উপজেলার ৩নং সাতকাপন ইউনিয়নের রাসুলপুর গ্রামের আব্দুল মালেক সাহেবের পুত্র সাইফুল ইসলাম। দুবাই যাওয়ার কথা ছিলো ছাত্রদল নেতা সাইফুলের।
সাইফুল ইসলামের পিতা আব্দুল মালেক বলেন, আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সহ প্রশাসনের সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আরও বলেন,আমার ছেলে শান্তশিষ্ট ছিলো,কারও সাথে তার কোন ব্যক্তিগত ক্ষোভ বা কোন ঝামেলা ছিলো না। আমি বিশ্বাস করি হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আমার ছেলে হত্যাকান্ডের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখলে অবশ্যই প্রকৃত হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আদালতের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করবেন।অবশেষে তিনি সাইফুলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
জানা যায়,গত ৫দিন যাবত নিখোঁজ হওয়ার পর হবিগঞ্জে শ্বশুরবাড়ি এলাকা পইল থেকে বস্তাবন্দি লাশ মিলে সাইফুলের। তার মৃত দেহ রসুলপুর গ্রামে এসে পৌঁছালে এলাকাজুড়ে সুখের ছায়া নেমে আসে। শেষ দেখা দেখতে শত শত নারী-পুরুষের ঢল নামে তার বাড়ীতে। রসুলপুর গ্রামবাসী এমন নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সোমবার (০৪ মার্চ) এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান,এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা করা হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন জানান,সাইফুল ইসলাম বাহুবল উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
উল্লেখ্য,গত ৫ দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয় সাইফুল। এরপর থেকে সে আর বাড়ি ফিরেনি। ৬ মাস পূর্বে তিনি হবিগঞ্জ শহরতলীর উমেদনগর গ্রামে বিয়ে করেন।
সিলেট নিউজ২৪/এসডি.