বিশেষ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের মাধবপুরে নোয়াপাড়া চা বাগানের রঘুনন্দন জঙ্গল থেকে ফজল মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যাক্তির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রীর অভিযোগ তার স্বামী ফজল মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ফজল মিয়া উপজেলার মাদারগড়া গ্রামের মৃত ইয়াকুব মিয়ার ছেলে।
গত রোববার (০৩ মার্চ) দুপুরে মাধবপুর থানা পুলিশ নোয়াপাড়া চা বাগানের পূর্ব রঘুনন্দন জঙ্গল থেকে তার লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্ত জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
মাধবপুর থানার এস.আই দ্বীন মোহাম্মদ মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) জানান,গত রোববার (০৩ মার্চ) সকালে ১১টার দিকে নোয়াপাড়া চা বাগানে পূর্বদিকে রঘুনন্দন সংরক্ষিত বনে রক্তাক্ত একটি মরদেহ জঙ্গলের ভেতর দেখতে পায় পাহাড়ি শ্রমিক ও চা বাগানের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ ও পরিচয় সনাক্ত করে। মরদেহের সুরতহালে লাশের মাথায় ও মুখে একাধিক স্থানে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) নিহতের স্ত্রী নাজমা বেগম জানান,গত শনিবার (০২ মার্চ) বিকেলে উপজেলার বেঙ্গাডুবা গ্রামের ইদ্রিস মিয়া নামে এক ব্যাক্তি তার স্বামীকে ফোন দিয়ে জরুরী দেখা করতে বলে। তার ফোন পেয়ে ফজল মিয়া তার সঙ্গে নোয়াপাড়া চা বাগানের দিকে চলে যায়। বিকেল ৬টা দিকে ফজল মিয়া মোবাইল ফোনে ফোন দিলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে ফজল মিয়া কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।
পরের দিন রোববার (০৩ মার্চ) সকালে নোয়াপাড়া চা বাগানের পূর্ব দিকে রঘুনন্দন জঙ্গলের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় ফজল মিয়া লাশ পাওয়া গেছে। তার মাথায় মুখে অসংখ্য কুপের আঘাত রয়েছে। স্ত্রীর নাজমা ধারনা ইদ্রিস মিয়া ফজল মিয়াকে জঙ্গলে নিয়ে হত্যা করেছে।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ রকিবুল ইসলাম খান জানান,কিভাবে ফজল মিয়ার মৃত্যু হয়েছে, রহস্য উদঘাটন ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।
সিলেট নিউজ২৪/এসডি.