ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের হাওর এলাকার একটি গ্রামে গতকাল বুধবার বিকেলে দশম শ্রেণিতে পড়ৃুয়া এক স্কুল ছাত্রীর(১৫) বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মো.মুনতাসির হাসানের প্রচেষ্ঠা্রয ওই ছাত্রীটি বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পায়।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের ওই ছাত্রীটির সঙ্গে একই গ্রামের এক যুবকের (২৫) সঙ্গে বুধবার বিকেল চারটার দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। বিকেল তিনটার দিকে এই বাল্য বিয়ের খবরটি পেয়ে যান ইউএনও মো.মুনতাসির হাসান। তিনি এই বাল্য বিয়েটি বন্ধ করতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন।
ওইদিন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে স্থানীয় একজন নারী গ্রাম পুলিশকে কনের বাড়িৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃতে যান। তিনি সেখানে গিয়ে বর পক্ষের ছয়জন নারীকে কনের বাড়িতে দেখতে পান। বরযাত্রীনিয়ে বর কনের যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু বাল্য বিয়ের আয়োজনের ঘটনার খবরটি ইউএনও জেনে যাওয়ার এবং খবরটি লোকমুখে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় বিপদ এড়াতে বর লোকজন নিয়ে কনের বাড়িতে যাননি। পরে বর পক্ষের ওই নারীরা খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কনের বাড়ি থেকে চলে যান। নারী গ্রাম পুলিশ ওই ছাত্রীর বাবাকে বাল্য বিয়ের কুফল বুঝিয়ে বলেন এবং তাঁর মেয়ের বয়স ১৮বছর না হওয়ার আগে কোথাও বিয়ে না দেওয়ার জন্য বলে সেখান থেকে তিনি চলে আসেন।
বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসাইন বলেন,এই বাল্য বিয়ের খবরটি আমার জানা ছিল না। ইউএনও স্যারের কাছ থেকে খবর পেয়ে একজন নারী গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে এই বাল্য বিয়েটি বন্ধ করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মুনতাসির হাসান বলেন, বাল্য বিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি ও অপরাধ। বাল্য বিয়ে রোধে উপজ