দিলোয়ার হোসাইন, বানিয়াচং থেকে : হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং একটি হাওর অধ্যূষিত উপজেলা।
বর্ষাকাল আসলে এখনও পানিতে থৈ থৈ করে হাওরের বুক।
তবে কমে আসছে মাছের প্রাচুর্য। হারিয়ে গেছে পাল তোলা আর দাড়টানা নৌকার চলাচল।
হারিয়ে গেছে কত নাম না জানা লতাগুল্ম আর জলজ উদ্ভিদ।
হাওর থেকে একদা উড়তে উড়তে অভিমানে চলে গেছে কত নাম না জানা পাখিরা। হয়তো আর কখনই ফিরে আসবেনা।
এক সময় ছিল একান্তই হাওরের নিজস্ব কিছু বৃক্ষরাজি।
এসব আর ফিরিয়ে আনা যাবেনা।
হাওর থেকে নাই হয়ে যাওয়া, আর হারিয়ে যাওয়া সব কিছুই হয়তো আর ফিরিয়ে আনা যাবেনা।
তবুও কিছু ফিরিয়ে আনার জন্য স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে।
এরকমই এক চেষ্টা হচ্ছে হাওরপ্রান্তে হিজল আর সোনালু গাছের সৃজিত বাগান করার চেষ্টা।
হাওরের নিজস্ব বৃক্ষ হচ্ছে হিজল,কড়চ,কদম,বরুন,মেরা,উজারু,ছাতিম,
জারুল,ডুমুর সহ আরো কত নাম না জানা বৃক্ষ।
এই গাছগুলোতে বিভিন্ন ঋতুতে ফুটে থাকতো অজস্র ফুল।
সব প্রজাতির বৃক্ষ হয়তো আর ফিরিয়ে আনা যাবেনা। তবে কিছু গাছে আবারোও সেই সমস্ত ফুল ফুটবে।
বানিয়াচং উপজেলার হাওরের প্রবেশমুখেই একদিকে (হবিগঞ্জ-বানিয়াচং) শহীদ সায়ীদুল হাসান স্মরনী আর অন্যদিকে রয়েছে (বানিয়াচং-নবীগঞ্জ) এমএ রব বীর উত্তম সড়ক।
এই সড়ক দুটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসেন হাওরের সৌন্দর্য অবলোকন করতে।
এই সড়ক দুটির দুই প্রান্তে হাওরের হারিয়ে যাওয়া বৃক্ষ রোপন করে বনায়নের মাধ্যমে আরও বেশি সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বানিয়াচং উপজেলা প্রশাসন থেকে ।
এরই অংশ হিসেবে সড়কগুলিতে জারুল,হিজল,কৃষ্ণচূড়া,কাঞ্চন ও সোনালু গাছ সহ ১০হাজার গাছের চারা রোপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে ২২আগস্ট শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় এমএ রব বীরউত্তম সড়কের মোহাম্মদপুর এলাকায় বৃক্ষরোপন কার্যক্রমের উদ্ধোধন করা হয়।
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান বৃক্ষরোপন কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম চৌধুরী,হবিগঞ্জ জেলা সড়ক ও জনপথ নির্বাহী প্রকৌশলী সজীব আহমেদ,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা, সহকারী কমিশনার(ভূমি) ইফফাত আরা জামান ঊর্মি,ভাইস চেয়া্রম্যান ফারুক আমীন, প্রেসক্লাব সভাপতি মোশাহেদ মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, এরশাদ আলী, সিনিয়র সাংবাদিক মখলিছ মিয়া, সাংবাদিক আল হাদী প্রমূখ।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান বলেন,হাওরের যত্ন নিলে মাছে সমৃদ্ধ হবে। পাশাপশি হারিয়ে যাওয়া বৃক্ষরাজি ও লতাগুল্মের পরিচর্যা করলে হাওর আবার সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে।
হাওরে বেড়াতে আসা পর্যটকগন আশা করছি মুগ্ধ হবেন।