রাজা মিয়া বিশেষ প্রতিনিধিঃ ১২৮ বছরের ইতিহাস ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিলেট মুরারিচাঁদ কলেজের সুনামকে হাওয়ায় মিশিয়ে দিয়েছে ছাত্র লীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা।যদি ও ছাত্র লীগ নেতারা বলছেন ওরা তাদের দলের কেউ নয়,এমনকি সিলেট জেলা ও মহানগরে ছাত্র লীগের কোনো কমিটি ও নেই। কিন্তু এরা ছাত্র লীগের নাম বিক্রি করে এসব করছে। এমন দাবি তুললে ও দেশ বিদেশে এই ঘটনাটি আলোচনা নিয়ে এসেছে ছাত্র লীগকে।এছাড়া সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরেই এমসি কলেজের নাম। সেখানে এমন ঘটনা কেউই মেনে নিতে পারছেন না,শুধু তাই নয়,আন্তর্জাতিক বিশ্বেও এই বিষয়টি টনক নড়ছে।যদি ও বলছেন ছাত্র লীগ নেতারা ধর্ষকরা তাদের কেউ নয়,এরপরে ও দায় এড়াতে পারবেন কি তারা এখন সেটা দেখার বিষয়।
ঘটনাটি ঘটার কিছু সময়ের মধ্যেই ধর্ষকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথেই আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্হানীয় নেতারা এদের দ্রুত গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। ইতিপূর্বে সিলেট সুনামগঞ্জ হবিগঞ্জ থেকে তিন দর্শককে আটক করেছে পুলিশ।বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত দর্শকদের ধরতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু একশ আঠাশ বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য হাওয়ায় মিশিয়ে দেয় ছাত্রলীগ নামধারী গুন্ডারাই যথেষ্ট।
এমসি কলেজে বর্তমানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থীরা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সামাজিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সিলেটজুড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেছেন তারা। এক পর্যায়ে দেখা গেছে সর্বস্তরের জনতার আই এই দর্শনের ঘটনার প্রকৃত বিচার ও তাদের উস্কানিদাতাদের বের করে আইনের মুখোমুখি করতে আহ্বান জানাচ্ছেন কিন্তু বারবার এমসি কলেজের নাম বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আসার পরে এই কলেজের অতীত-বর্তমান ঐতিহ্য নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে। এছাড়া স্বামীর সামনে একজন নববধূকে কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে ছাত্রাবাসে ঢুকে এরকম ধর্ষণের ঘটনা নজিরবিহীন ও নিন্দনীয় বলে সকলেই ঘৃণার চোখে দেখছেন।
সকলের দাবি এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে এই কলেজের ইতিহাস ঐতিহ্যকে অটুট রাখতে প্রকৃত দোষীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করতে প্রশাসনের প্রতি ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত গত শুক্রবার রাত আটটার দিকে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রাবাসে ঢুকে ৬ ছাত্রলীগকর্মী স্বামীর সামনে নববধূকে ধর্ষণ করেছিল। এ পর্যন্ত তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।