সিলেটের সকাল রিপোর্টঃ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সিলেট নগরীর নয়াসড়কে ২০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক দুই ছিনতাইকারীকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা হচ্ছে- বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর গ্রামের মৃত মাসুক মিয়ার পুত্র ও বর্তমানে নগরীর চৌকিদেখী ২ নং রোডের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন ডায়মন্ড এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার কাকুরা গ্রামের বাসিন্দা মৃত মইনুল হক চৌধুরী এবং বর্তমানে নগরীর উপশহর ই বøক ২৫ নং রোডের ১ নং বাসার বাসিন্দা আসামী সারোয়ার হোসেন (২৯)। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও মিডিয়া অফিসার জেদান আল মুসা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ডায়মন্ড সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ সম্পাদক ও সারোয়ার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৮ মে দুপুর সাড়ে ১২টায় নিজ বাসা হতে বন্দরবাজার যাবার পথে নয়াসড়কস্থ ফ্যাশন হাউস মাহা’র সম্মুখে ছিনতাইয়ের শিকার হন। মোটর সাইকেল
আরোহী দুই ছিনতাইকারী মহিলার গতিরোধ করে ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে তার ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ব্যাগের মধ্যে নগদ ২০ হাজার টাকা,একটি সিম্ফোনি মোবাইল ফোন, চেক বই ও জাতীয় পরিচয় পত্র ছিল। মহিলার কাছ থেকে বিষয়টি অবহিত হয়ে কোতয়ালী থানার এস আই ইবাদুল্লাহ ঘটনাস্থল ও আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে আসামিদের শনাক্ত করেন। পরবর্তীতে ১৯ মে রাত সাড়ে ৮টায় উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ পিপিএম এর নেতৃত্বে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের একটি টিম এয়ারপোর্ট থানাধীন চৌকিদেখী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে ২নং আসামী জয়নাল আবেদীন ডায়মন্ডকে গ্রেফতার করা হয়। ডায়মন্ডের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রধান আসামী সরোয়ার হোসেনকে নগরীর শাহজালাল উপশহর থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামী সরোয়ার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং ছিনতাই করা ৮ হাজার টাকা তার পকেট থেকে বের করে দেয়। সরোয়ারের কাছ থেকে নগদ ৮ হাজার টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি লাল রঙের হাঙ্ক মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এ ব্যাপারে কোতয়ালী মডেল থানায় ২ মে একটি মামলা রুজু করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই/বিমল চন্দ্র দে ধৃত আসামিদের আদালতে উপস্থাপন করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আসামী সারোয়ার হোসেনের নামে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি এবং শাহপরান(র.) থানায় আরেকটি এবং ডায়মন্ডের নামে শাহপরান(র.) থানায় দুটি এবং কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
সূত্র ক্রাইম সিলেট