এন আই সুবেল, চুনারুঘাট প্রতিনিধি: বিশ্ব ব্যাপি করোনা ভাইরাসের আক্রমণের কবল থেকে রক্ষা নেই বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় আক্রান্ত রয়েছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জ জেলা ব্যাতিক্রম নয়। হবিগঞ্জের মধ্যে আক্রান্তের শীর্ষে দখল করে আছে চুনারুঘাট উপজেলা। মধ্য নরপিত দিঘির পাড়ের মৃত মোঃ মহিব উল্লা’র বড়ছেলে মোঃ মর্তুজ আলী বেশকিছুদিন থেকে জ্বর, শর্দি, হাচি, কাশি করোনা উপসর্গে আক্রান্ত হলে চুনারুঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চুনারুঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত ডাক্তার মোজাম্মেল হক তার নমুনা পরীক্ষা করলে করোনা প্রজেটিভ আসে। পরে তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালের আইসলিউশনে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে আক্রান্ত ব্যক্তির পবিবারের সকল সদস্যদের নমুনা পরীক্ষা করলে গত ১১ তারিখে আক্রান্ত ব্যক্তির সহধর্মনী মোছাঃ মোর্শেদা বেগমের করোনা প্রজেটিভ আসে।
পরবর্তীতে চুনারুঘাট থানা পুলিশ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাউছার বাহার, ওয়ার্ড মেম্বার কেরামত আলীর সহযোগিতায় লাল ফিতা টাংগিয়ে মধ্য নরপিতর আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িসহ পাশের ২৫টি বাড়ি লকডাউন করে দেয়। সকলকে বলা হয় ১৪দিন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য। লকডউন জোনের শাহ জাহানের তথ্যে জানা যায়, মাননীয় প্রধামন্ত্রীর নির্দেশ অনুয়াযী ইউনিয়ন চেয়ারম্যার কাউছার বাহার ২৫টি পরিবারের মাঝে ৫দিনে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে যান ও ৫দিন পরে আবার খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন এবং নির্দেশ দিয়েছেন কেউ যেন বাসার বাহিরে না যায়।
সকলকে কোয়ারান্টাইনে থাকার আদেশ করেন। কিন্তু লকডাউনকৃত জোনের ২৫টি পরিবারের মধ্যে প্রায় ২২টি পরিবারের সদস্যরা আবাঁধে ঘুডাফেরা করছে নরপতি সাহেব বাড়ী বাজারসহ বিভিন্ন জনসমাগম স্থানে। এমনকি কেউ কেউ ব্যবসাও করছেন নরপতি সাহেব বাড়ী বাজারে। ফলে করোনা ঝুকি বাড়ছে নরপতি বাজারে আসা জনসাধারন ও এলাকাবাসীর। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাউছার বাহার সাধ্য মতো যথেষ্ট চেষ্টা করছেন সকলকে কোয়ারান্টাইনে রাখার জন্য। উপজেলা প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীর দাবি, জনসাধারনের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে সকলকে বাধ্য করা কোয়ারান্টাইনে থাকার জন্য। সরকারি ত্রাণ ভোগ করার জন্য যেন লকডাউন না হয়। লকডাউন যেন হয় জনসাধারনের সুরক্ষা।