শিরোনাম
কুমিল্লায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জের ছাতক থানার দোলার বাজার জটি গ্রামের তুমুল সংঘর্ষ ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পঞ্চদশ সমাজ কল্যাণ সংস্হার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ১৭ রামাদ্বান ঐতিহাসিক বদর দিবস মহান স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন তাড়াইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন ঘাটাইলে গণহত্যা দিবস পালিত বরিশালে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের বসতবাড়ি দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন স্বাধীনতা দিবসে বীর শহিদদের প্রতি পুনাকের শ্রদ্ধাঞ্জলি “হৃদয়ে শ্রীমঙ্গল”-র উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ১২৫০টি পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৯ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

আদর্শ শিক্ষক ও গুনাবলি ঃ মাছুম আহমেদ 

Coder Boss / ৯২০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৭ জুন, ২০২০

   আদর্শ শিক্ষক ও গুনাবলি 
                           লেখক -মাছুম আহমেদ 

শিক্ষক নিয়ে লেখার ক্ষমতা আমার নেই। তবে লিখছি এই কারণে যে বর্তমান কালে কিছু কিছু শিক্ষকদের মমতা ও ভালবাসা দেখে লেখার লোভ সামলাতে পারছিলাম না। আমার রয়স তেমন নেই। মাত্র কুড়ি বছর।কুড়ি বছরের অভিজ্ঞা দিয়ে আদর্শবান শিক্ষকদের নিয়ে দু-এক কলম লেখার চেষ্টা করছি।আদর্শবান কেন বললাম? তা নিয়ে হয়’তো মত পার্থক্য সৃষ্টি হতে পারে,হতে পারে তাহাদের কাছে, যাহারা কেবল মাত্র শিক্ষক।তা হয় তো আদর্শিকরা’ই বোঝতে পারছেন। আমি কোন তফাত সৃষ্টি করছি না বর্তমান বাজারে সবাই শিক্ষক হতে পারে কিন্তু সবাই আদর্শবাদ শিক্ষক হতে পারেন না এজন্য জ্ঞানীরা বলে থাকেন সবাই শিক্ষক নয় কেউ কেউ শিক্ষক। তবে যাহারা আদর্শবান শিক্ষক নয় তাহাদিগকে আমি খাট করে দেখলে সেটা আমার জঘন্য অন্যায় হবে সে জন্য সকল শিক্ষককে শিক্ষক বলতে আমি কলম থামাতে পারব না। তবে শিক্ষকদের মধ্যেও অশিক্ষকও আছেন তা বলতে একটুও লজ্জিত বোধ করিব না।
শিক্ষক শব্দটি উচ্চারণ করতে কতক্ষণই আর লাগে, শব্দটি অন্যান্য শব্দের তুলনায় অতি ছোট কিন্তু তাহার রয়েছে ব্যাপক ওজন যার অতুলনীয় ও অভাবনীয় ক্ষমতা। একটু জেনে নেই শিক্ষক কাকে বলে, “শিক্ষাদানের মহান ব্রত যাহাদের কাজ তাহাদিগেকেই শিক্ষক বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে”৷

একটি শিশুকে জন্ম দিয়ে থাকেন তাহার মাতাপিতা আর প্রাকৃতিক নিয়মে বেড়ে উঠতে উঠতে তাহার স্থান হয় স্কুলে তখন তাহাকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার সাধ্য চেষ্টা করে থাকেন একজন মহান শিক্ষক। শিশুটি যখন কৈশোরে পদার্পণ করে তখন শিক্ষকেরও পালাবদল ঘটে। ঐ সময় দেখা মিলে কিছু কিছু ব্যতিক্রমি শিক্ষককে অবশ্য আমি তা দেখেছি। তারপর হয়ে থাকে খেলা; মনুষ্যত্বের খেলা,মানুষিক বীজ বপন করার খেলা। এখানে একটু বড় ধরনের ঝামেলা হয়ে থাকে মানুষিকতার বীজ বপনের সময় সকল শিক্ষার্থীগণ তখন উদারমনা শিক্ষকের সন্ধান করিতে বা নৈকট্য লাভ করতে পারে না বলে তাহারা কেবল পথভ্রষ্ট হয়ে যায়। জীবনকে রাঙিয়ে নেওয়ার একমাত্র উপায় হইল অনুপ্রেরণায় থাকা। মনকে সবসময় হাসিখুশি রাখা।একজন ভালো শিক্ষকের নৈকট্য লাভ করা।
যদি আমি কখনো হতাশ হয়ে পড়ি তখন সুলেমান কবির স্যার ও আমার ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত যিনি ছায়া হয়ে আছেন তিনি শাকিব স্যার আমি তাহাদের নৈকট্য লাভের চেষ্টা করি । তাহারা আমাকে আপাদমস্তক শক্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।শুধু তাই নয় জীবনের পথচলার জন্য নতুন পথ দিখিয়ে দেন।হাই-স্কুল লাইফে আদর্শ শিক্ষকদেরকে পেয়েছিলাম তাহাদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্ক ও বহু জাতক পাঠক দেবব্রত সাহার কাছ থেকে বই পড়ার হাতেখাড়ি অর্জন করি।মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে কথা বলার সাহস অর্জন করেছি গোলাম মোস্তফা স্যারে সান্নিধ্যে থেকে৷ তাহাদের দেখিয়ে দেওয়া রাস্তা অনুসরণ করে আমি কলেজের দ্বার প্রান্তে পৌঁছালাম।
সেখানে গিয়ে যে সকল শিক্ষদেরকে পেয়েছিলাম তাহারা বৈচিত্র্যময় গুণের অধিকারী। রোকনুজ্জামান স্যার,সাহদাত আলিম,সুলেমান কবির স্যার,তাপসী চক্রবর্তী ম্যাম,তুহিন স্যার,এবং আমাদের রোভার স্কাউটিং এর শরীফ উদ্দীন স্যার ও অঞ্জু ম্যাম এখানকার সবাই হইলেন অনন্য গুণের অধিকারী।আরও একটি কথা না বলে পারছি না,আমার লেখালেখি জন্য সুলেমান কবির স্যার সাহস ও অনুপ্রেরণার জুগিয়ে দেন যখন-তখন, তিনি আমার লেখালেখি জগতে বৃক্ষ হিশেবে আমার কাছে চির হয়ে থাকবেন।এছাড়াও আমার অনেক শিক্ষক আমাকে উৎসাহ দিয়ে থাকেন।ব্যক্তিজীবনে আরও অসংখ্য বিচক্ষণ গুণের অধিকারী শিক্ষকদের সান্নিধ্য লাভ করতে পেরেছি সেই জন্য নিজেকে নিয়ে একটু আধটু গর্ববোধ করতেও পারি।

আজ যাঁহারা উচ্চপদস্থ স্থানে পৌঁছেছেন, বড় বড় ডিগ্রি নিয়ে খ্যাতাব অর্জন করেছেন, যাহাদের জীবন হয়েছে নক্ষত্রের মত দীপ্তিমান আমি সুস্পষ্ট করে বলব তাহাদের মর্যাদা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হিশেবে শিক্ষকদের আদর্শ হাত রয়েছে।ইতিহাসের পাতায় এমন হদিস রয়েছে। সক্রেটিসের ছাত্র হলেন প্লেটো ছাত্র। মাত্র কুড়ি বছর বয়সে তিনি যুবক সক্রেটিসের কাছে দীক্ষা লাভ করে থাকেন এবং দর্শন সাধনায় নিজেকে উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত করেছিলেন। সক্রেটিসের মৃত্যুর পর দিশেহারা হয়ে পড়িলেন প্লেটো।আর প্লেটোর ছাত্র হলেন এ্যারিস্টটল কিন্তু তাহাদিগের মধ্যে বিভিন্ন তত্ত্বের মতবিরোধ হত।এই রকম অসংখ্য হদিস রয়েছে। তাই আমরা যারা শিক্ষার্থী আছি অবশ্যই শিক্ষকদের সান্নিধ্যে যাওয়া, শিক্ষক মনপ্রাণ দিয়ে ভালবাসা,যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করা আমাদের সকলেই কর্তব্য।
এখন মহান শিক্ষকদের কিছু গুণের দিক নিয়ে ফের আলোচনা করি। যদিও আমার পক্ষে এগুলো বলা বেয়াদবির সামিশ এজন্য আমি শুরতেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।একজন আদর্শ শিক্ষকের যা থাকে তার মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি বলার চেষ্টা করছি.
১. যিনি সবসময় প্রস্তুত থাকেন
একজন আদর্শ শিক্ষক নিজেকে সবসময় প্রস্তুত রাখতে হয়। শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যার সমাধানে তিনি এগিয়ে আসিতে দিধাবোধ করেন না।
২. পড়াশুনা ও রিয়ালিস্টিক চিন্তা ভাবনা :
পড়াশুনা ছাড়া একজন আদর্শ শিক্ষকের জীবনে আর কিছুই হতে পারে না। নিজেকে সবসময় ব্যস্ত রাখার মধ্যে হইলো পড়াশুনায় থাকা। এর মধ্যে দিয়ে নতুন নতুন অনেক বেশি জানার আগ্রহ থেকে তিনি তার জ্ঞানটুকু ছাত্রদের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারেন।এবং তিনি সবসময় বাস্তববাদী চিন্তাভাবনার হয়ে থাকেন। তার শিক্ষার্থীদের বাস্তববাদী হওয়ার কথা বলে থাকেন।
৩. পরিবেশের সাথে নিজেকে :
এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাহারা যেকোনো পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন না।ফলে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু একজন আদর্শ শিক্ষক নিজেকে এমনভাবে প্রস্তুত করে রাখেন যেন যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে নিজেকে খুব সহজে মানানসই করতে পারেন।
৪.সত্যের পথে নির্ভীক:
একজন আদর্শ শিক্ষক তার ছাত্রছাত্রীদের সবসময় সত্যের পথে নির্ভীক থাকার কথা বলে থাকেন। কারণ তাহার কাছে অন্যায়ের কোনো আশ্রয় নেই। সত্যের আদর্শে নিজেদের গড়ে তুলতে নির্দেশ দিয়ে থাকেন।
৫. অনুপ্রেরণা
একজন আদর্শ শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের একটি নির্দিষ্ট উপায়ে পড়িয়ে থাকেন এবং সবসময় উৎসাহ দিয়ে থাকেন। তিনি ভালো করে জানেন যে উৎসাহ ছাড়া একজন শিক্ষার্থী কোনরূপে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পায় না। একটি শিক্ষার্থীর জীবনে অনুপ্রেরণা ছাড়া সফল হইতে পারে না।তাই অনুপ্রেরণাকে শিক্ষার্থীর প্রধান খাদ্য বলে অখ্যান করে থাকেন।
৬. শিক্ষার্থী ও শিক্ষক :
একজন আদর্শ শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের সাথে এক ধরনের আত্মিক বন্ধন তৈরি করে থাকেন । ফলে ছাত্রছাত্রীরা যেকোনো সমস্যায় শিক্ষকের কাছে যেতে সুবিধা হয়,শিক্ষকের সাথে কথা বলার সাহস হয়ে থাকে এবং তিনি তা খুব সহজ উপায়ে সমাধান করে দেন।

পৃথিবীর যত মূল্যবান জিনিস আছে
তার চেয়ে মূল্যবান জিনিস হলো শিক্ষক
আমার সকল শিক্ষকদের প্রতি রইলো
অশেষ দোয়া ও ভালবাসা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন