মোঃ রাকিবুল হাসান সুমন, যশোর কেশবপুর প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করলেও কেশবপুর উপজেলায় থেমে নেই বাল্য বিবাহ। এমত অবস্থায় প্রশাসন যখন উপজেলায় করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যস্ত এরই মধ্যে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় চলছে বাল্য বিবাহের হিড়িক। তবে উপজেলা প্রশাসন বাল্য বিবাহ রুখতে সদা তৎপরতা রয়েছে ৷ কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইরুফা সুলতানা জানান, করোনা ভাইরাস থেকে মানুষকে সর্তক করতে ২৬ জুন (শুক্রবার) রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে যায়। এ সময় জানতে পারি, উপজেলার ভেরচী গ্রামের আব্দুল হালিমের মেয়ে সুরাইয়া খাতুনকে (১৪) তালা উপজেলার আরশনগর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের বোবা ছেলে তারিকুল ইসলামের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুরাইয়া স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী । সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাল্য বিবাহের অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মেয়ের বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷ তিনি আরও জানান, একই রাতে সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা উপজেলার মিঠাবাড়ীর গ্রামের মানিকের ছেলে আমিনুর রহমান (২২) এর সাথে কেশবপুরের কাস্তা গ্রামের আব্দুর রউফের মেয়ে সুমনা খাতুনের (১৪) বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করে মেয়ের বাড়িতে আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
এ সময় বাল্য বিবাহের অপরাধে মেয়ের বাবাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ছেলে ও মেয়ে উভয়ই অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত দু’জনই পৃথক থাকবে এ মর্মে মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷ ইরুফা সুলতানা আরও বলেন, বাল্যবিবাহের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা এবং বাল্যবিবাহের অপরাধ যদি কেশবপুর উপজেলার অন্য কেউ করে তাহলে বাল্যবিবাহের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিবর্গকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। প্রশাসন এ বিষয়ে সবোর্চ্চ নজরদারি রাখবে ও অভিযান অব্যহত থাকবে ৷ এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভূমি অফিস এর পেশকার ফারুক হোসেন, রেজাউল করিম (তারু), নাসিরউদ্দিন, জুলফিকারসহ প্রমুখ