শিরোনাম
তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে পুনাকের বার্ষিক বনভোজন উদযাপন জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড ও মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত জৈন্তাপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী’র স্টল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান  রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যাণে ইমামগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন-জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান ছাতকে সেবা ব্লাড ফাউন্ডেশন ইসলামপুর ইউপি’র উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ৮৮,০০০ টাকার জাল নোটসহ চুনারুঘাটের ‘জামাল মিয়া’ গ্রেফতার বছর ঘুরে আইলো আবার ‘বৈশাখ’ জৈন্তাপুর প্রবাসী গ্রুপ কাতার শাখার ঈদ আনন্দ ভ্রমণ বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি গঠন আবুল কালাম আহবায়ক, ফিরোজ সদস্য সচিব
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

জৈন্তিয়ায় গ্যাস চাই দাবি না অধিকার ? সহকারী অধ্যাপক ফয়েজ আহমদ বাবর

Coder Boss / ৫৫৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই, ২০২০

১৯৫৫ সালে পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম লিমিটেড পিপিএল হরিপুর গ্যাসক্ষেত্র এক নম্বর (যা দূর্ঘটনায় নষ্ট হয়ে যায়) এবং ১৯৫৭ সালে তিন নম্বর কূপ সফল ভাবে খনন করার মধ্যে দিয়ে হরিপুরের গ্যাসক্ষেত্রের শুভ সূচনা হয়। এ কূপের গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণের পর ১৯৬১ সালে ফেন্চু‌গন্জ সার কারখানায় সরবরাহ করা হয়।  তারও পূর্বে ১৯৬০ সালে দেশের দ্বিতীয় গ্যাস ক্ষেত্র হতে উৎপাদিত গ্যাস ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে সংযোগের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ভাবে দেশে গ্যাস ব্যবহারের সূচনা হয়।

স্বাধীনতা পরবর্তী পিপিএল নাম পরিবর্তন হয়ে বিপিএল করা হয়। ১৯৮২ সালের ৮ মে কোম্পানি আইন ১৯১৩ এর আওতায় (হরিপুর, কৈলাশটিলা, বিয়ানীবাজার এবং রশিদপুর ) গ্যাস ফিল্ড সমূহকে নিয়ে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিঃ নামকরণ করা হয়। পেট্রোবাংলার অধীনে উৎপাদন কোম্পানি এবং বিতরণ কোম্পানির আলাদাভাবে ভাগ আছে। সিলেট অঞ্চলের বিতরণ কোম্পানি জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিঃ যা ১৯৮৬ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৫৫ সালে আমাদের হরিপুর গ্যাস কূপ তৎকালীন থানা গোয়াইনঘাট এবং বর্তমান জৈন্তাপুর উপজেলায় অবস্থিত। জৈন্তিয়ার কোথাও গ্যাস সরবরাহ না করে ১৯৭৮ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে সিলেট শহরে গ্যাস সংযোগের যাত্রা শুরু হয়। জালালাবাদ গ্যাস সিলেট পূর্ব, পশ্চিম ,উত্তর ,দক্ষিণ নামে চারটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে বিতরণের কায্যক্রম চালাচ্ছে। ১৯৯৬ সালে জুনে ফেঞ্চুগঞ্জ, ১৯৮৬ সালের ২১ শে জুন গোলাপগঞ্জ, ১৯৯৮ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর বিয়ানীবাজার সহ সিলেট বিভাগের আরো ১০ উপজেলায় গ্যাস সংযোগ স্থাপন হয়ে গেছে।
দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়, যে অঞ্চলের মাটির বুক চিরে গ্যাস উৎপন্ন হয়েছে সেই মাটির সন্তানরা আজ পর্যন্ত গ্যাসের দেখা পায়নি। সুদীর্ঘ ৬৫ বৎসর পরেও বৃহত্তর জৈন্তিয়ার জনসাধারণ গ্যাস সংযোগ বা গ্যাসের সুবিধা থেকে বঞ্জিত।
বৃহত্তর জৈন্তিয়ার প্রতিটি ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ প্রদানের জন্য, জৈন্তিয়ার জনগণ বিভিন্ন ভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে।
বিশেষ করে বৃহত্তর জৈন্তিয়ার আপামর জনসাধারণের কাছে সমাদৃত “জৈন্তিয়া কেন্দ্রীয় ছাত্র পরিষদ” ১৯৮০ সাল থেকে গ্যাস সংযোগের বিষয়ে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়ে আসছিল । তৎপরবর্তী জৈন্তা জনদাবি পরিষদ এর মাধ্যমে জৈন্তিয়ার ছাত্র, যুবক, ১৭ পরগনার নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ হরতাল-অবরোধ এবং মিটিং মিছিল সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে গ্যাসের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। সেই আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় হরিপুরে হেমু পর্যন্ত ছোট পাইপের গ্যাস সংযোগ দেওয়া হলেও জৈন্তিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের গ্যাস সংযোগ অধরাই রয়ে গেছে।
সিলেট-৪ সংসদীয় আসনের ৬ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য জননেতা জনাব ইমরান আহমেদ ২০১৮ সালে মহান জাতীয় সংসদে বৃহত্তর জৈন্তিয়ার প্রতিটি ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ প্রদানের যুক্তিকথা তুলে জোরালো বক্তব্য রেখেছেন।
গ্যাস জৈন্তিয়ার মানুষের প্রাণের দাবী। এই দাবির পেছনে অনেক যৌক্তিক কারণ আছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ সমূহ হচ্ছে।
(১) সিলেট এর অন্যান্য উপজেলায় গ্যাস ক্ষেত্র না থাকা সত্ত্বেও যদি গ্যাস পায়।দেশের অন্যান্য অঞ্চলে রন্ধনশালা এবং শিল্প কারখানা যদি জৈন্তিয়ার গ্যাসে চলে তাহলে ন্যায্যতার ভিত্তিতে গ্যাস সংযোগ জৈন্তিয়ার মানুষের অধিকার।
(২) বর্তমান সরকারের আমলে মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে এখন মাথাপিছু আয় ১৬০০ ডলারের উপরে। গ্যাস বিতরণে এখন আর কোনো অসুবিধা হওয়ার কারণ নেই।
(৩) বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদের ভরপুর অত্র অঞ্চলে শিল্প কারখানা অর্থনৈতিক জোন সহ অনেক মিল ইন্ডাস্ট্রি হওয়ার উপযোগী স্থান। তাই জৈন্তিয়ায় গ্যাস সরবরাহ সময়ের দাবি।
(৪) প্রাকৃতিক গ্যাস একটি পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি। আর বৃহত্তর জৈন্তা অঞ্চল একটি পর্যটন এলাকা। বিশেষ পর্যটন অঞ্চল ঘোষণা করা হলে অনেক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটক এখানে আসবে তাদের মানসম্মত বাসস্থানের জন্য এবং এলাকার পরিবেশ দুষন রোধে গ্যাস সংযোগের দাবী যৌক্তিক।
(৫) প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন গ্রাম হবে শহর। সেই শহর গড়তে হলে অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে গ্যাস তাই গ্রামাঞ্চলে গ্যাসের দাবি যুক্তিসংগত।
বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। জন্মের ৫০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ দ্রুতগতি সম্পন্ন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মতো সফলতা দেখাতে পেরেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা মেট্রোরেল সহ দেশের মেগা প্রকল্প সমূহ আজ বাস্তবায়নের পথে।
আমরা আমাদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী অত্র অঞ্চলের ৬বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য জননেতা জনাব ইমরান আহমদের মাধ্যমে বাংলাদেশের শেষ ঠিকানা মমতাময়ী মা, বাংলার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে জৈন্তিয়া বাসির নিবেদন, ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুর পদস্পর্শ এ ধন্য এবং ১৯৮৬ ও ১৯৯৬সালে আপনার আগমনে বঙ্গবন্ধু মুজিবের আদর্শে উজ্জীবিত এই অঞ্চলের সকল মানুষের আকুল আবেদন দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। এই অঞ্চলের মানুষের অধিকার, জৈন্তিয়ার গ্যাস জৈন্তিয়ার প্রতিটি ঘরে ঘরে গ্যাস সরবরাহ করে জৈন্তিয়ার দুঃখিনী মা দের মুখের হাসি ফুটিয়ে তুলতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনার হস্তক্ষেপ ছাড়া জৈন্তিয়ার মানুষের আর কোন পথ খোলা নেই।
লেখকঃ সহকারী অধ্যাপক ফয়েজ আহমদ বাবর


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন