জকিগঞ্জঃ
সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে সুরমা নদীর ধারে সবজি চাষ করেন জামাল উদ্দিন।
শাহগলী বাজার সহ পার্শ্ববর্তী বাজারে জামাল উদ্দিনের সবজি সুপ্রসিদ্ধি।
ছোট কাল থেকেই নয় সন্তানের পিতা জামাল উদ্দিন সবজি চাষ করে পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন।
তার সাথে বারোজন শ্রমিক সবসময় থাকেন,যাদের পরিবার জামাল উদ্দিনের সবজি চাষের ওপর নির্ভরশীল।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সবজি চাষ করেন জামাল উদ্দিন।
কিন্তু বন্যায় সবজি চাষ নষ্ট করায় প্রায় চার লক্ষ টাকার ক্ষতির মুখে পড়ায় জামাল উদ্দিনের চিন্তার শেষ নেই।
কিভাবে সন্তানদের নিয়ে দিন কাটাবেন আবার যারা তার চাষের ওপর নির্ভর করে বারোজন শ্রমিক তাদের পরিবারের অবস্থা কি হবে এই চিন্তায় রাতে ঘুম আসছেনা।
জামাল উদ্দিন বলেন,পরিচিতদের পরামর্শে জকিগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসারের সাথে যোগাযোগ করেন।
একদিন কৃষি অফিসার সবজি চাষের স্থান পরিদর্শন করে একটি প্রত্যয়ন পত্র দেন, যাহাতে জামাল উদ্দিন সহজভাবে ব্যাংক থেকে টাকা আনতে পারেন।
জামাল উদ্দিন যখন ব্যাংকে যান তখন ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন,টাকা নিতে হলে জমির কাগজ লাগবে।
জামাল উদ্দিন বলেন,আমি অন্যের জায়গা চাষ করি,জমির মালিক আমি নয়।
জমির মালিককে আমার ক্ষতির কথা বলে ব্যাংক থেকে টাকা আনতে জমির কাগজ এর কথা বললে,জমির মালিক বলেন এবার চাষ করে আমার জমি ফেরত দিয়ে দিবে।
তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন শুনেছি,সহজ সর্তে কৃষকদের টাকা দেওয়ার জন্য।
এখন যদি টাকা আনতে জমির কাগজ লাগে তাহলে কৃষকরা কাগজ দিবে কিভাবে।
বেশিরভাগ চাষি অন্যের জমি চাষ করে।
জামাল উদ্দিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আকুল আবেদন করেন তার নয়জন সন্তান ও সাথে থাকা বারোজন শ্রমিকদের পরিবারের দিকে চেয়ে সহজ ভাবে সরকারি সহযোগিতা যেন দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করেন শাহ মোঃ ফয়ছল চৌধুরী কল্যান ট্রাস্টের সচিব ডাঃ মোঃ সাদিক আহমদ তাপাদার ও ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলিগের সভাপতি কামরুল ইসলাম।
চাষি জামাল উদ্দিনের সাক্ষাৎকার গ্রহন করেন শাহগলী আদর্শ শিশু বিদ্যানিকেতনের প্রিন্সিপাল সাইফুর রহমান এবং সহযোগিতায় ছিলেন আব্দুস সামাদ।