জকিগঞ্জ প্রতিনিধি
অদ্য ১০-০৮-২০২০ খ্রিঃ তারিখ সকাল ০৬.১৫ ঘটিকায় জকিগঞ্জ থানাধীন ০৯ নং মানিকপুর ইউনিয়নের হাড়িকান্দি মাদ্রাসার পাশে জনৈক (পরবর্তীতে আসামী) শাহীন আহমদ (৩৫), পিতাঃ তছদ্দর আলী, সাং-রায়গ্রাম, থানাঃ জকিগঞ্জ, জেলাঃ সিলেট জানায় যে, জিয়াপুর সাকিনের আবুল কালাম এর বসত বাড়িতে ইয়াবা আছে।
উক্ত সংবাদটি পরিকল্পিত মনে হওয়ায় তাকেসহ টিম জকিগঞ্জের এসআই/নোটন কুমার চৌধুরী এর নেতৃত্বে একটি টিম তদন্তে নামে। সকাল অনুমান ০৬.৩৫ টার সময় শাহীনকেসহ তারা ঘটনাস্থলে পৌছে আবুল কালাম এর বসতঘর তল্লাশী করে। এ সময় সাথে থাকা আসামী জানায় বাড়ির পিছনের রান্নাঘরের নাওরিতে আছে। তার কথা ও দেখানো মতে নাওরির মধ্যে একটি নীল রংয়ের পলিথিনে মোড়ানো দুইটি বায়ুরোধক কালো পলিব্যাগের ভিতরে ২০০ (দুইশত) পিস হালকা গোলাপী রংয়ের ইয়াবা পাওয়া যায়।
আসামী শাহীনকে এ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় যে, ইয়াবা গুলো হাসান আহমদ চৌধুরী @ হাসনু (২৮), পিতাঃ মৃত আবুল কালাম, সাং-জিয়াপুর, থানাঃ জকিগঞ্জ, জেলাঃ সিলেট আবুল কালামের সাথে শত্রুতার জের ধরে তাকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে আবুল কালামের বাড়ির পিছনের রান্না ঘরের নাওরিতে নিজ হাতে রেখে তাকে মোবাইল ফোনে পুলিশকে অবগত করার কথা বলে এবং এর বিনিময়ে হাসনু শাহীনকে টাকা পয়সা দিবে।
পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে উক্ত হাসনুকে আটক করলে সে সবার সামনে ঘটনার কথা স্বীকার করে এবং ইয়াবাগুলো অপর আসামী মারুফ আহমদ (৩০), পিতাঃ মৃত আঃ রহমান, সাং-উত্তর জিয়াপুর, থানাঃ জকিগঞ্জ, জেলাঃ সিলেট এর নিকট হতে ক্রয় করে আবুল কালামকে ফাঁসানোর জন্য ঘটনাস্থলে রেখেছে মর্মে জানায়। এরপর পুনরায় অভিযান চালিয়ে উক্ত মারুফ আহমদকে গ্রেফতার করা হয়। আসামী মারুফও সকলের সামনে ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে।
আসামীদের মোবাইল ফোনসহ ইয়াবাগুলো জব্দ করা হয়েছে। পুলিশের নিকট মিথ্যা সাক্ষ্য সৃষ্টি করে, সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করায় তাদের বিরুদ্ধে জকিগঞ্জ থানার মামলা নং-১২, তাং-১০-০৮-২০২০ খ্রিঃ, ধারাঃ ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর ১০(ক)/৪১ তৎসহ ১৯৩/২০৩ দঃ বিঃ রুজু করা হয়েছে। আসামী মারুফ আহমদ এর বিরুদ্ধে পূর্বের জকিগঞ্জ থানার মামলা নং-০৮, তাং-১০-১২-২০১৯ খ্রিঃ, ধারাঃ ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১০(ক)/৪১ বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে।
আমরা অন্যকে ফাঁসানোর বিভিন্ন পদ্ধতির বিলোপ চাই। এ বিষয়ে জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের বলেন, তবে প্রবাদ রয়েছে, ” অন্যের জন্য খাল খনন করলে তাতে নিজেকেই পড়তে হয়।” আমরা সাবধান হই। আমরা আগামীতে এমন কিছু দেখতে চাই না।