রাকিবুল হাসান সুমন, যশোর জেলা প্রতিনিধি:
যশোরের কেশবপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইরুফা সুলতানা’র ৩১তম জম্মদিন আজ। তিনি তেরখাদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে যোগদান করেন। করোনাকালে সৎ, সাহসী ও করোনা সম্মূখযোদ্ধা হিসেবে কেশবপুরের জনসাধারনের কাছে বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছেন । সরকার তাঁর কাজের স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি একটি পুত্র সন্তানের জননী। পুত্রের নাম রাসাদ-আল-ইছায়া (ইয়ান)। তাঁর স্বামী বিবান বাহিনীর কর্মকর্তা।
করোনাকালে সরকারের বিভিন্ন কাজে সফল্য অর্জন করায় বেশ সুনাম কুড়িছেন সাতক্ষীরার মেয়ে ও কেশবপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরুফা সুলতানা।
মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে যখন গোটাবিশ্ব বিপদগামী, ঠিক তখনই যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রথম থেকেই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরুফা সুলতানা। তিনি তেরখাদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে যোগদান করেন।
পৌরসভাসহ উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা, বাজারগুলোতে দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ, জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে কঠোর ভূমিকা পালন করে চলেছেন তিনি। প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছেন। অভিযানের সময় সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিং করে দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার ভিতরের রাখতে কঠোর ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, করোনা সময়কালে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন। পাশাপাশি ভূগর্ভ থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন ৷
১৯৮৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৩ তারিখে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে জম্ম গ্রহন করেন তিনি। পিতা অবসর প্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক শেখ মতিউর রহমান ও মাতা মৃত তাহরিমা রহমান। ২০০৫ সালে কালিগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও২০০৭ এইচএসসি পাশ করেন। ২০০৭-৮ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন থেকে অনার্স ও ২০১১-১২ সেশনে মাস্টার্স পাশ করেছেন।