শিরোনাম
তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে পুনাকের বার্ষিক বনভোজন উদযাপন জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড ও মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত জৈন্তাপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী’র স্টল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান  রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যাণে ইমামগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন-জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান ছাতকে সেবা ব্লাড ফাউন্ডেশন ইসলামপুর ইউপি’র উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ৮৮,০০০ টাকার জাল নোটসহ চুনারুঘাটের ‘জামাল মিয়া’ গ্রেফতার বছর ঘুরে আইলো আবার ‘বৈশাখ’ জৈন্তাপুর প্রবাসী গ্রুপ কাতার শাখার ঈদ আনন্দ ভ্রমণ বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি গঠন আবুল কালাম আহবায়ক, ফিরোজ সদস্য সচিব
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

মাদক মুক্ত সমাজ চাই

Coder Boss / ৭২৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

নিরব,সীতাকুন্ড চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশ বৃহত্তর সমস্যার
মধ্যে মাদক একটি বড় সমস্যা। বর্তমানে মাদক বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে নষ্ট করার একটি সহজ উপায়। এবং মাদক বাংলাদেশর তরুণ-তরুণীদের বিফলে নিয়ে যাচ্ছে। যে তরুণ-তরুণী মাদক আসক্ত হয়েছে, তার স্বাভাবিক জীবন যাপন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

বর্তমানে মাদকের মধ্যে, বাংলাদেশ সবচেয়ে জনপ্রিয় লাভ করেছে ধূমপান। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ক্ষতিকর। তেমন দেশ জাতি ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর। যে ব্যক্তি ধূমপান করে লক্ষ করলে দেখা যায়।

সে পৃথিবীতে খুব অল্প সময়ে জীবন-যাপন করতে পারে।
যারা ধূমপান করে তাদের জেনে রাখা উচিত। ধূমপান একটি অভিশাপ। ধূমপান করায় কোনো উপকার নেই।

বরং এটি অনেক জটিল রোগ সৃষ্টির কারণ হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপায়ীরা অধূমপায়ীদের চেয়ে ২২ বছর আগে মারা যেতে পারে। প্রতিদিনই ধূমপানের কারণে নতুন নতুন রোগের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। ধূমপায়ীদের হার্ট অ্যাটাকের আশংকা সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও ধূমপান শারীরিক পরিশ্রমের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

শেখার ক্ষমতা ও কাজের দক্ষতা কমিয়ে দেয়। আবেগকে নিয়ন্ত্রণহীন করে ফেলে।

সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। মানসিক পীড়নকে বাড়িয়ে দেয়। উগ্র আচরণের জন্ম দেয়।
আত্মহত্যার প্রবণতার জন্ম দেয়। শুধু তাই নয়, যে ব্যক্তি ধূমপান করে, ধূমপান শুধু তার ক্ষতি করে না। তার পাশে থাকা ব্যক্তিদের ও ক্ষতি করে। যে কোনো ব্যক্তি ধূমপান করার সময় তার পাশে না থাকাই ভালো। আরো লক্ষ করলে দেখা যায়। বর্তমানের বয়স্ক ও যুবকদের সাথে সাথে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা ও ধূমপানের প্রতি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে।
একটা সন্তানের প্রতি মা বাবা পরিবারের কত না আশা ভরসা থাকে। তারা চায় তার সন্তান ভালো কিছু করুক,খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকুক। কিন্তু যে মানুষ মাদকাসক্ত হয়েছে‌, সে শুধু মাদকাসক্ত হয়নি সে খারাপের দিকে অগ্রসর হয়েছে।

মাদকের সাথে সাথে মাদক সেবনকারী ব্যক্তিরা বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়ে থাকে। নিজের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে। মাদকাসক্ত ব্যক্তি তার পরিবারের উপর নির্যাতন করে। স্ত্রী সন্তান আত্মীয়-স্বজন দের প্রতি অশালীন আচরণ করে।

যা সমাজ দেশ ও জাতির জন্য বিপদজনক। শুধু কি তাই,মাদকের জন্য বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম নষ্ট হওয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে।
মাদকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার ও প্রশাসন কঠোর আইন জারি করেছে। তারপরও বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে মাদক থেকে বিরত রাখা যাচ্ছে না। আর প্রধান কারণ কিছু অসাধু মাদক ব্যবসায়ী। চোরা কারবারি ব্যক্তির জন্য। যারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে, দেশের তরুণ সমাজকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করছে। এদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দিতে হবে।
মাদক ও ধূমপান প্রতিরোধের উপায়ঃ হিসেবে আমাদের যা করা উচিত।

ধর্মীয় শিক্ষা বিধি নিষেধ মেনে চলতে উৎসাহিত করতে হবে।
পরিবারে মাদক ধূমপান বন্ধ করতে হবে, পরিবারের কেউ ধূমপান করলে তাকে এর খারাপ দিকগুলো বোঝাতে হবে।
খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং উন্নয়নমূলক কাজ করার উৎসাহ দিতে হবে।

ধূমপান বিরোধী প্রচারণা বৃদ্ধি করতে হবে।
মাদক ও ধূমপায়ীদের মাদক ধূমপানের বিরুদ্ধে সচেতন করতে হবে, তাদেরকে বোঝাতে হবে মাদক ও ধূমপান ছাড়ার জন্য নিজের সদিচ্ছাই যথেষ্ট।
আনন্দ করার জন্য কিংবা ক্লান্তি দূর করার জন্য বিভিন্ন উপায় বের করে দিতে হবে।
মাদক ও ধূমপান বিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করতে হবে।

নিজের ও সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল করে তুলতে হবে।
আপনার সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখুন আপনার সন্তানের আচার আচরণ লক্ষ্য করুন তাহলে হয়তো আপনার সন্তানকে মাদক সেবন থেকে ধূমপান থেকে বিরত রাখতে সক্ষম হতে পারেন

লেখক
সরোয়ার উদ্দিন নিরব রিমন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন