কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদর নির্বাচনে পরাজয়ের প্রতিশোধ হিসেবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী ও পুত্রকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী আবুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার থানাবাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা বেগম বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। পুলিশ তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে (মামলা নং-২৬)। তবে, আসামীদের পক্ষ থেকে দায়ের করা পাল্টা অভিযোগটিও মামলা হিসেবে গ্রহণ করায় জনমনে প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে।
আয়েশা বেগমের অভিযোগ, এলাকার চিহ্নিত দাঙ্গাবাজ ‘আবুল বাহিনী’ আমার স্বামী ও পুত্রকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। কিন্তু, উল্টো আমাকে জড়িয়ে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনি বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিগত উপজেলা নির্বাচনে আবুলের স্ত্রী নাসরিন জাহানের সাথে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন আয়েশা বেগম। নির্বাচনে পরাজয় বরণ করার পর থেকে আবুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী বিভিন্ন সময়ে আয়েশা বেগম ও তার পরিবারকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিবে বলে হুমকী দিয়ে আসছিল। আয়েশার স্বামী জালাল উদ্দিন থানাবাজারের একজন ফল বিক্রেতা। তাকে কিছুদিন ধরে ফলের দোকান অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছিল আবুল। ঘটনার দিন সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আবুল বাহিনী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জালালের ফলের দোকানে হামলা ও লুটপাট চালায়। এতে বাঁধা দিলে জালাল ও তার পুত্র ফেরদৌস আলমকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এদিকে, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী ও পুত্রকে অন্যায়ভাবে নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী মোঃ শামীম আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ লাল মিয়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলী আমজদ এবং সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আপ্তাব আলী কালা মিয়া। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আবুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল বলেন, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুই পক্ষই থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। দুটি এজাহারই মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।