শিরোনাম
তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে পুনাকের বার্ষিক বনভোজন উদযাপন জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড ও মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত জৈন্তাপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী’র স্টল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান  রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যাণে ইমামগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন-জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান ছাতকে সেবা ব্লাড ফাউন্ডেশন ইসলামপুর ইউপি’র উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ৮৮,০০০ টাকার জাল নোটসহ চুনারুঘাটের ‘জামাল মিয়া’ গ্রেফতার বছর ঘুরে আইলো আবার ‘বৈশাখ’ জৈন্তাপুর প্রবাসী গ্রুপ কাতার শাখার ঈদ আনন্দ ভ্রমণ বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি গঠন আবুল কালাম আহবায়ক, ফিরোজ সদস্য সচিব
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫১ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

রুকাইয়া সালিহা নুসরাত, সিলেটের অন্যতম তরুণ নারী উদ্যোক্তা

Coder Boss / ৮৩৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২০

কানিজ আমিনা সিলেটঃ

 

আমি রুকাইয়া সালিহা নুসরাত।স্বত্তাধিকার-নুস্টি(NusTy)।

১) আপনার শৈশব ও বেড়ে ওঠা নিয়ে কিছু বলুন।

জন্মসূত্রে ঢাকার মেয়ে হয়েও আমার জন্মস্থান সিলেট।মায়াময় শহরের পাহাড়,চা বাগান,মনিপুরী ঐতিহ্য, ওলি আওলিয়ার পূন্যস্থান,শান্ত শহরেই আমার বেড়ে ওঠা।বাবা, মা,দুই বোনকে নিয়েই আমার ছোট্ট পরিবার।বাবার ব্যবসার সুবাদে বেড়ে উঠেছি এই প্রিয় শহরে,পড়ালেখার পাঠে জুড়ে আছে ব্লু বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ এবং সিলেট সরকারি কলেজ।এরপর পাড়ি জমাতে হয় ঢাকায়,বর্তমানে এখানেই আছি।

২) এখন কিসে পড়ছেন?

-বর্তমানে মনোবিজ্ঞান নিয়ে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছি ইডেন মহিলা কলেজে।

৩) উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ কিভাবে তৈরি হলো?

-আগেই বলেছি আমার বেড়ে ওঠা সিলেটে আর সিলেট এর ঐতিহ্যের অংশ মনিপুরী শাড়ি,ওড়না ইত্যাদি।
নিজে কিছু করার ইচ্ছা আর মনিপুরী শিল্পের প্রতি ভালোবাসা একই সাথে এই শিল্প মানুষের কাছে পৌছে দেয়ার আগ্রহই আমার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্পের মূল।আর উদ্যোগের সাথে আছে বন্ধু সৃষ্টি। দুজনের নাম মিলে তাই উদ্যোগের নাম দিলাম নুস্টি(NusTy).

৪) উদ্যোক্তা হয়ে উঠার পেছনে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছেন কার কাছ থেকে?

-পড়াশোনা ঠিক রেখে অন্যকিছু করতে চাইলে বরাবরই পরিবারকে পাশে পেয়েছি।বাবা,মা,বোনেরা উপদেশ তো দিয়েছেই একই সাথে বন্ধু জোহরা মাহজাবিন সৃষ্টির সহযোগিতার কথা না বললেই নয়।

৫) পড়াশোনা ও ব্যবসা-দুটো একসাথে কিভাবে সমন্বয় করছেন?

-আমি মনে করি যে কাজগুলো আমাকে করতেই হবে, সবগুলোতে আমি যেন সমান পরিশ্রম দিতে পারি সেরকম সুগঠিত পরিকল্পনা আমার নিজেকেই করে নিতে হবে।দুটি কাজকে পরিপূরক না ধরে সমান গুরুত্ব দেই।প্রতিটি দিনই অনেক দীর্ঘ সময়ের ব্যাপ্তি আর এই সময়েই সঠিক পরিকল্পনা আর সবার সহযোগিতা সাথে আছে বলেই পড়াশোনা আর ব্যবসা একসাথে চালিয়ে নিতে পারছি।

৬) আপনি যে ফিল্ডে কাজ করছেন সেই ফিল্ডে সফল কোন ব্যক্তিকে কি আইকন হিসেবে ফলো করেন?

-না,আলাদা করে আমি কাউকে আইকন হিসেবে ফলো করি না।নিজের কাজের ভালোবাসাই আমাকে এই কাজে উৎসাহ যোগায়। তবে আমাদের দেশে এখন অনেক সফল নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন যারা পরোক্ষভাবে আমাদের মতো নতুন উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণার ব্যাক্তি।

৭) বাংলাদেশের আর্থসামাজিক পরিবেশ নারীদের উদ্যোক্তা হয়ে উঠার জন্য কেমন সহায়ক বলে আপনি মনে করেন?

-বাংলাদেশের আর্থসামাজিক জীবনে নারীদেরকে মনে করা হয় এখনো পিছিয়ে আছে।তাই যার যার অবস্থান থেকে নিজের সামর্থ্য আর যোগ্যতা অনুযায়ী নিজের সেরা কাজটিকেই উদ্যোগে রূপান্তর করতে হবে।উদ্যোক্তা হতে কোন নির্দিষ্ট কাজ লাগে না।নিজের পারা কাজ আর ইচ্ছাই মূল।নারীরা নিজের উদ্যোগে সফল হলে তা যেমন তাদের আত্মনির্ভর করবে একই সাথে আমাদের দেশের অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হবে।

৮) তরুণ নারী উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।

-আমি বলতে চাই অন্যের উপর নির্ভরশীল না হয়ে সবার পড়ালেখার পাশাপাশি আত্মনির্ভরশীল হতে উদ্যোক্তা হবার কোন বিকল্প নেই।নিজে যে কাজে দক্ষ সেটি নিয়েও সামনে আগাতে পারেন এতে কোন ছকবাধা কাজ নেই।নিজের পরিচিতি তৈরি করে অন্য আরো ১০ জনকে সহযোগিতা করা যায়।নারীরা চাইলেই যে সব করতে পারে এটা মনে রেখে ইচ্ছাশক্তিকে জড়ো করে কাজ শুরু করে দিতে হবে।

ধন্যবাদ আপনাদের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন