আল-মামুন খান, তাড়াইল(কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ঝড়ো বৃষ্টিতে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৪ই এপ্রিল রবিবার বিকাল ৫ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত টানা চার ঘন্টা ঝড়ো বৃষ্টিতে ও গরম হাওয়ায় ফসলের ক্ষেতের ধান পুড়ে গেছে।
এতে করে তাড়াইলের হাজারো কৃষকদের সোনার ফসল ধ্বংস হয়ে গেছে। কৃষকেরা আর সপ্তাহ দুয়েক পরেই মাঠের সোনার ফসল কেটে ঘরে তুলত। তখন কৃষকের মুখে ফোঁটে উঠত আনন্দের হাসি। ঘরে ঘরে আনন্দের জোয়ার বয়ে যেতো। উল্টো সব হারিয়ে আজ কৃষক ও তাদের পরিবার দিশেহারা। ক্ষেতের ফসল যাদের একমাত্র অবলম্বন তাদের অবস্থা আরও বেশি করুন। গত চার-পাঁচ মাস যাবত যে জমিতে কৃষক শ্রম,ঘাম,অর্থ ব্যয় করেছিল কিছু পাওয়ার আশায় সেই আশা-ভরসা এক নিমিষেই শেষ করে দিয়েছে এক আচমকা ঝড়ো হাওয়া। কিভাবে সারাবছর কাটবে,কিভাবে জোগাড় করবে সারের খরচ, তেলের খরচ,বীজের টাকা,পরিশ্রমের ঘাম? এক ঝড়েই মূহুর্তের মধ্যে ধূলিসাৎ করে দিল কৃষকের স্বপ্ন। এই অবস্থা থেকে কিভাবে সারাবছর দুমুঠো ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবে সে কথা বলতে পারছেন না কোনো কৃষক। কিছু কিছু কৃষকের সর্বত্র হারাতেও হতে পারে ধানের এই ক্ষতির কারণে।
তাড়াইলের তালজাঙ্গা ইউনিয়নের দেওথান গ্রামের কৃষক মোঃ স্বপন খান, মোঃ সফিক ভূইয়া, মোঃ মকুল খান,আলম খান,ইসলাম খান ও ঘোষপাড়া গ্রামের আসাদ ভূইয়া বলেন, বোরো ধানের এই বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় অধিক বেশি ফলন হয়েছিল। তারা বলেন যদি এই ধান কৃষকেরা কেটে ঘরে তুলতে পারত তাহলে তারা অনেক লাভবান হতে পারত। কৃষকদের আকুল আবেদন ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের পাশে যেন সরকার সুদৃষ্টি দেন।