আল-মামুন খান, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের চরতালজাঙ্গা বাদুরতলা গ্রামের পাশে রিফাত (১২) এক কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে তাড়াইল থানার পুলিশ।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, রিফাত শুক্রবার দিবাগত রাতে তারাবির নামাজ শেষে বাসায় ফিরে আসে এবং বাড়ির পাশের দোকানে কিছু খেতে যাচ্ছে বলে তার সৎ মা শিরিন আক্তারকে বলে।
তখন রিফাতের সাথে সৎ মা শিরিন আক্তার কিছুক্ষণ দোকানের দিকে আগায়। কিছুক্ষণ আগানোর পরে শিরিন আক্তার একা ঘরে ফিরে আসে। পরে রিফাতের পিতা মো. দুলাল মিয়া (৪৫) তার বড় ছেলে রাজু (১৮)কে নিয়ে মসজিদ থেকে ফিরে এসে রিফাতের কথা শিরিন আক্তারকে জিজ্ঞাসা করলে সে দোকানের কথা বলে। কিন্তু তখন দোকান বন্ধ এবং রিফাতকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হওয়ার পর রাত ১১টার সময় পাড়ার মসজিদে মাইকিং করে এলাকাবাসীকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।
পরে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার সময় গ্রামের তাজউদ্দিন ও সাথে থাকা লোকজন নিয়ে কৃষি খেতে কাজ করতে যাওয়ার সময় জমির পাশে রিফাতের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়। সাথে সাথে রিফাতের ফুফু পারুলকে খবর জানানোর পর এই সংবাদ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তখন হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয় দুলাল মিয়ার বাড়িতে।
অন্যদিকে আরও জানাগেছে, দুলাল মিয়ার প্রথম স্ত্রী নাজমা আক্তার (৩৫) দীর্ঘদিন পর পাশের পাড়ায় বোনের বাড়িতে আসছিল বেড়াতে। তিনিও নিজের সন্তানকে সারারাত খোঁজাখুঁজি করে।
আরও জানাগেছে, স্বামীর সাথে বনিবনাত না হওয়ায় প্রথম স্ত্রী রিফাতের মা নাজমা আক্তার গত ৮মাস যাবৎ তার বাবার বাড়ি শেরপুর জিনাইগাতি তেঁতুলতলা’য় অবস্থান করছিল। ৫দিন পূর্বে তার বোনের বাড়ি চরতালজাঙ্গা (স্বামীর বাড়ির অদূরে) আসে।
এদিকে দুলাল মিয়া প্রথম স্ত্রী নাজমা আক্তারকে রেখে ৩মাস পূর্বে তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের আকুবপুর গ্রামের মঞ্জু ভূঁইয়ার মেয়ে শিরিন আক্তার (৩৩) কে বিয়ে করে।
ওই ঘটনার খবর পেয়ে তাড়াইল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং লাশ সুরতহাল করে ময়না তদন্ত করার জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছেন।
রিফাত হত্যার সুষ্ট বিচারের মাধ্যমে খুনীকে সনাক্ত করে ফাঁসির দাবি করেছে এলাকাবাসী।
কিশোরগঞ্জ পুলিশের এএসপি, (সার্কেল করিমগঞ্জ) মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশা করছি শীঘ্রই এর হুতাকে খুঁজে বের করা যাবে। তদন্তের স্বার্থে এই মুহুর্তে আর কিছু বলতে পারছি না।