সত্যজিৎ দাস,সংবাদ প্রতিনিধি।
হবিগঞ্জ জেলায় করোনা সংক্রমনের হার ৪৬.১℅ শতাংশ হলেও সদরে ও উপজেলা গুলোতে সামাজিক দূরত্ব কেউ মানছেনা । সোমবার(০৫ জুলাই ২০২১) সকাল থেকে বাহুবল উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন,সেনাবাহিনী যৌথভাবে মোবাইল কোর্টে জরিমানা করলেও লকডাউনকে গুরুত্ব দিচ্ছে না কেউ।
দেশে দিন দিন খারাপের দিকেই যাচ্ছে মহামারী করোনা পরিস্থিতি,তারউপর ভারতীয় ধরণ “ডেল্টা” । গত ০১ জুলাই থেকে বাহুবল উপজেলায় সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হলেও কেউ কোন বিধিনিষেধ মানছে না,অবাধে চলছে অহেতুক ঘুরাঘুরি এবং চায়ের দোকানে বসে আড্ডা।
আজ দুপুর ১২-১ঃ৩০ মিনিটে বাহুবল উপজেলার মূল প্রবেশমুখ জাঙ্গালিয়া এলাকায় দেখা যায়,কেউ সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের সিদ্ধান্ত মানছেন না। সরকারি হিসেব অনুযায়ী বাহুবলে ৬ জন করোনা আক্রান্ত, এদের মধ্যে ৩ জনই বাহুবল ইউনিয়নের। পুলিশ প্রশাসনের কড়াকড়ির পরেও এলাকার মেডিকেল রোড,ইসলামাবাদ রোড,তালুকদার টাওয়ার রোড,হামিদনগর চলাচল করছে সিএনজি,অটোরিকশা,টমটম। এ যেনো কোন উৎসব ও মেলার পূর্বপ্রস্তুতি। বাহুবল টু মিরপুর,বাহুবল টু দুবারাই বাজার তিনগুণ ভাড়া দিয়েই গন্তব্যস্থলে পৌঁছাচ্ছেন যাত্রীরা।
এ নিয়ে সচেতন মহলে মাঝে উদ্বেগ উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে।
সচেতন মহল মনে করছেন এ অবস্থা থাকলে হবিগঞ্জ সদরের মতোই বাহুবলেও করোনা রোগীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। তারা সর্বাত্মক লকডাউনের কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী হবিগঞ্জ জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত সংখ্যা ২,৮৯২ জন এবং মারা গেছেন ২১ জন।
উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে প্রতিদিনই জরিমানা করছে। কিন্তু তাতেও তেমন কাজ হচ্ছে না। অভিযানের খবর পেলে পালিয়ে যায় আইন অমান্যকারী কাপড়ের দোকান,কসমেটিক এর দোকানদারেরা।
অন্যদিকে বাহুবলের ইসলামাবাদ রোডে অবস্থিত প্রত্যেকটি সেলুনই খোলা,এর মধ্যে কোন কোন নরসুন্দর এক্সপার্ট আবার সাটার বন্ধ করে ভিতরে চুল,দাড়ি ফেলছেন।
প্রশাসনের অভিযানকারী দল এক দোকানে প্রবেশ করলে খবর পেয়ে অন্য ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন।
উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বরত ইউএনও স্নিগ্ধা তালুকদার বলেন,বাহুবল উপজেলায় প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে বাহুবলের আশেপাশের এলাকাগুলোতেও বিশেষ নজরদারি থাকে। প্রতিদিনই জরিমানা করা হয়। প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
এরপরও কেন মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এভাবে জরিমানা করে হয়তো কিছুটা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
তবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে অবশ্যই মানুষকে নিজে থেকে সচেতন হতে হবে।