অনলাইন ডেস্কঃ
মেদিনীপুর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সদর শহর ও একটি পৌরসভা এলাকা। এই শহরে মেদিনীপুর বিভাগের সদর দপ্তর অবস্থিত।
মেদিনীপুর শহর থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত সদর ব্লকের শিরোমনি অঞ্চলের বিষরা গ্রাম। অভিযোগ, বাবা বিজেপি করেন, তাই বাবাকে না পেয়ে তাঁর দুই কিশোর ছেলেকে মারধর করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা এবং তাতে সহায়তা করে আপন জেঠাতো ভাই। দুই ছেলেকেই ভর্তি হতে হয়েছে মেদিনীপুর সদর হাসপাতালে। অভিযোগ অনুযায়ী, বিজেপি কর্মী শ্রীদাম মন্ডলের একটি দোকান তৈরির কাজ চলছিল। তাতেই বাধা দেয় এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। মদত দিয়েছিল শ্রীদাম মন্ডলের নিজের ভাইপো (দাদার ছেলে)। সেই বাধা না মেনে আইনি সহায়তা নেয় ওই পরিবার। এরপর ১৪৪ ধারা জারি করে বাড়ি তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেই অপরাধেই (০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১) বিজেপি কর্মী শ্রীদাম মন্ডলকে মারধর করতে গিয়েছিল স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। বাড়িতে শ্রীদাম মন্ডলকে না পেয়ে তাঁর দুই ছেলেকে মারধর করে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। আহত দুই ছেলে বর্তমানে মেদিনীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীদাম মন্ডল এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। তাঁর দাদা ও দাদার ছেলেরা তৃণমূল করে। তাদেরই মদতে, দোকান ঘর তৈরি করতে বাধা দেওয়া হয় শ্রীদাম-কে। ঘটনা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশ পেয়ে গত (০৩ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার থেকে তাঁরা ফের দোকান তৈরির কাজ শুরু করে। তাতেই ক্ষুব্ধ হয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। চড়াও হয় শ্রীদামের বাড়িতে। শ্রীদাম মন্ডল-কে না পেরে তাঁর দুই ছেলেকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।
মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) মেদিনীপুর সদর হাসপাতালে বসে শ্রীদাম মন্ডলের বড় ছেলে শুভদীপ মন্ডল(২০) বলেন, “আমরা দুই ভাই এখানে থাকিনা। বাইরে পড়াশুনা করি। রবিবার(০৫ সেপ্টেম্বর) আমার জেঠুর ছেলের মদতে আমাকে পুকুরে ডুবিয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। ভাই বাধা দিতে গেলে ওকেও মারধর করা হয়। এমনকি, তৃণমূল নেতৃত্বের চাপে মেদিনীপুর হাসপাতালেও আমাদের কোন চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না!”
বিষয়টি নিয়ে বিজেপির মেদিনীপুর জেলার সহ-সভাপতি অরূপ দাস বলেন, “তৃনমূলের ব্লক সভাপতি মুকুল সামন্তের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটেছে। থানায় অভিযোগের পাশাপাশি কোর্টে অভিযোগ জানানো হবে দলের তরফ থেকে ।” যদিও পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মুকুল সামন্ত বলেন, “এর সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। সরকারি রাস্তার উপর বাড়ি তৈরি করছিলেন জোর করে,স্থানীয় গ্রামবাসীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বাধা দিয়েছে এতে।”