সিলেট প্রতিনিধিঃ
সিলেট সিটি করপোরেশনের ৯ নং ওয়ার্ড, কোতোয়ালি মডেল থানাধীন বাগবাড়ী নরশিংটিলার জালালী ৪৫ রেখা বেগমের বাসায় গত শুক্রবার ৭ জানুয়ারী রাত অনুমান সাড়ে ১০ ঘটিকা ও সাড়ে ১১ ঘটিকায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
দফায় দফায় এ হামলার নেতৃত্ব দেন সিলেটের চিহ্নিত ভুমিখেকো, দাঙ্গাবাজ,লামাবাজার সরষপুরের বাসিন্দা তাজ উদ্দিন খান শিশু। এব্যাপারে রেখা বেগমের কেয়ার টেকার আব্দুর রহিম এর স্ত্রী রুপা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কতোয়ালী থানা পুলিশের এস আই জাকির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পান।
পরের দিন এস আই জাকির হোসেন খবর দিয়ে থানায় নিয়ে বলেন এটি মামলা হবে না জিডি হবে। তাই আজ ১২ জানুয়ারী দুপুর ২ ঘটিকায় রূপা বেগম থানায় হাজির কোতোয়ালি মডেল থানা ওসির কাছে আরেকটি অভিযোগ দাখিল করেন।
জানা গেছে তাজ উদ্দিন খান শিশু গং সরকারের গেজেট কৃত প্রায় ৭ একর ভূমির মধ্যে প্রায় অর্ধেক ভুমির জাল দলিল সৃষ্টি করে বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা। তাছাড়া সরকারের লীজ গ্রহীতাদের উচ্ছেদ করে বাকী ভুমি জোর দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এব্যাপারে সিলেটের যুগ্ম জজ অর্পিত সম্পত্তি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে প্রায় ১৪টি মামলা রয়েছে। লীজ গ্রহীতা ও সরকার পক্ষে মামলা চালাইতেছেন সিলেট জেলা প্রশাসক ও জিপি।মামলা নং ২০০/১২,৩৬/১২,৩৭/১২,৪৪/১২,১২২৩/১২,৬৯/১২,১০৩৪/১২,১৫০/১২,১০৬/১২,১৫৭/১২,২৩৩/১২,ও অন্যন্য। যাহা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারক মোঃএনায়েতুর রহিম ও মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে ২১/০৯/২০২১ইং হইতে এক বছরের জন্য ষ্টে করা হয়েছে।
তাজ উদ্দিন খান শিশু গং সরকারের অর্পিত সম্পত্তি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় রেখা বেগমের ভুমি জোর দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে রেখা বেগমের কেয়ার টেকারের উপর হামলা চালায়।
গত শুক্রবার আব্দুর রহিমের স্ত্রী রুপা বেগম তার দুটি সন্তান নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন এসময় তার স্বামী দোকানে ছিলেন, এই সুযোগে তাজ উদ্দিন খান শিশু ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে দরজা খুলতে ডাক দেয়, সে সরল বিশ্বাসে দরজা খোলা মাত্র শিশুর নেতৃত্বে ৪/৫ জন যুবক বাসায় ঢুকে তছনছ শুরু করে রুপা বেগম বাঁধা ও মোবাইলে ছবি তুলতে গেলে তাজ উদ্দিন খান শিশুর নির্দেশে দুই যুবক রুপা বেগমের হাত ধরে রাখে তাজ উদ্দিন শিশু দুইগালে চড়থাপ্পড় মারে অন্যান্য আসামি গণ মানহানীর চেষ্টা চালায়।
পরে রুপা বেগম ও তার শোরচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন ও আব্দুর রহিম আসলে সন্ত্রাসীরা একটি নুহা গাড়ি (নং ঢাকা মেট্রো ১৪-৫২৯৮) ও একটি মোটরসাইকেল (সিলেট-হ-১৩-৬৬৬৩)যোগে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসীর ওসবাই সরে গেলে পুনরায় তাজ উদ্দিন খান শিশুর নেতৃত্বে ৩/৪ জন এসে গালি গালাজ মামলা করলে ঘর পুড়িয়ে প্রানে মারার হুমকি দিয়ে চলিয়া যায়। রূপা বেগম ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য স্হানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।