সিলেট নিউজ ডেস্কঃ
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এর ২০২১-২২ অর্থ বছরের ১২তম সভায় গতকাল মঙ্গলবার (২২ মার্চ) পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলাধীন ভোলাগঞ্জ (আরএইচডি) – দোয়ারাবাজার – ভাটরাই – হাদারপাড় জিসি সড়কের ৬৫৪ মিটার চেইনেজে লুনি নদীর উপর (আনফরের ভাঙ্গায়) সেতু নির্মাণের প্রস্তাবটি অনুমোদন পেয়েছে।
২০০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ কোটি টাকা। ৫০০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণে আরো ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
খুবই জনগুরুত্বপুর্ন এ ব্রীজটি যে শুধু গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুরের জন্য প্রয়োজন তা নয় এটি বিছনাকান্দি পর্যটন, পাথর কোয়ারি সহ ভারত – বাংলাদেশ স্থল পথের অন্যতম একটা মাধ্যম হতে পারে। নিসন্দেহে জাতীয় উন্নয়নে বড় ভুমিকা রাখার মত একটি ব্রীজ। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অবশেষে আলোর মুখ দেখলো বহুল প্রত্যাশিত আনফরের ভাঙ্গায় ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্প।
পর্যটন খ্যাত বিছনাকান্দির যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই রাস্তা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা আসেন, কিন্তু ভাঙ্গায় ব্রীজ না থাকার দরুন পর্যটকদের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়, পেতে হয় ভোগান্তি স্বস্তিতে যেতে পারেন না পর্যটন স্পটে। এলাকাবাসী দাবি ভাংগায় ব্রীজ নির্মাণ হলে পর্যটকের সমাগম আরো বাড়বে, বাড়বে নিম্নআয়ের মানুষের কর্মসংস্থান দূর হবে বেকারত্ব পর্যটকরা উৎফুল্ল মনে স্বাচ্ছন্দে যেতে পারবে পর্যটন স্পটে। দৈনন্দিন জীবনের নিম্নআয়ের মানুষের প্রয়োজন মেটাতে পাবে আর্থিক স্বচ্ছলতা।
উল্লেখ্য, সেতুটি নির্মাণ হলে সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্পট বিছনাকান্দির পর্যটকরা এই সেতু ব্যবহার করে স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণ করতে পারবে। বর্তমানে সেতু না থাকায় পর্যটকরা নৌকাযোগে বিছনাকান্দিতে যাতায়াত করতে হয়।