আমার প্রাণপ্রিয় শিক্ষক:
কলমে কবি মুকলেছ উদ্দিন-
এই নুরুল হক স্যার আমার শিক্ষক। আমার ব্যাচসম্যান প্রদীপ সরকার। হাস কুরি। উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক বাচ্চু। লাল মিয়া চনগাও ।
মোস্তফা হাটনাইয়া। সুলতান উদ্দিন কাইকুড়িয়া । আব্দুস সাত্তার চানগাও ।আমি কলেজে লেখাপড়া করার সময় স্যারের বাসায় অনেকদিন আসা-যাওয়া করেছি। স্যার আমাকে অনেক সময় সুপরামর্শ দিয়েছেন।
তখনকার সময়ে নেত্রকোনা কলেজে মদনের দুইজন প্রফেসার ছিলেন একজন নুরুল হক স্যার দ্বিতীয় গোমেজ স্যার কদম শ্রী।সেই সময়ের শিক্ষার আলোর পথ প্রদর্শক ছিলেন তারা।তারা ছিলেন এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের ডোবার কাদায় ভরা সোনা। কষ্টিপাথর।যাদের পরশে আজ জলমল আলোর শহর।
তাদের পরশে আজ যত লেখক কবি
মনোরম পরিবেশ আর্টিস্ট আঁকে ছবি।
তা না হলে ফুটিতনা ফুল প্রত্যন্ত অঞ্চলে
বল্লোয়া মটকা নল কাগড়ার জঙ্গলে।
গাইতনা গান সেথায় কাকুলিরা এসে
ডাকিতনা ঘুঘু হিজলের শাখায় বসে।
বেভুর ঘুমে ঘুমিয়ে ছিল অলস যারা
তাদের ঘুম ভাঙ্গাল সকালের কাকলিরা
কি দেখাব আজ তাদের গুণের প্রমাণ
যেদিকে তাকাই সবি তাদেরই অবদান
ভেবেছিলাম স্যারকে একবার দেখি
শিক্ষা নিতে যাব যতটুকু আছে বাকি
সেই সময়টুকু আর হইল না আমার
বিধাতার ডাকে চলে গেলেন ওপার
তাই দোয়া করি আজ প্রভুর দরবারে
সহজ হিসাব হয়যেন স্যারের শেষ বিচার
আজ জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী হবে বারবার
সেখানে হয়তো যাওয়া হবে না আমার
তবে সেই সভায় যদি কেহ করে ব্যঙ্গক্তি
আমি ছাড়বো না তাকে দেব কঠোর শাস্তি
আমি হৃদয়ের সভায় করি শ্রদ্ধা ভক্তি
যেথায় আছেন তিনি পায়ে যেন শান্তি।
স্যারের অনুগত কবি মুকলেছ উদ্দিন চান গাঁও ঠাকুরবাড়ি মদন নেত্রকোনা