স্বাধীনতার মাস ডিসেম্বর!
কলমে কবি মুকলেছ উদ্দিনঃ
এসেছ তুমি স্বাধীনতার মাস ডিসেম্বর
তাই আনন্দ করি মোরা সারাদিন ভর।
আবার যখন মনে পড়ে যুদ্ধের প্রান্তর
ভয়ে বাঙালির প্রাণ কাপে থর থর
সেদিন বন্ধুক আর কামানের গুলায়
রাজপথ বয়ে ছিল রক্তের বন্যায়
মা হারিয়ে সন্তান বোন হারিয়ে ভাই
স্ত্রী হারিয়ে স্বামী কত যে লেখা নাই।
জনগন বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্ন বস্ত্রহীন
পাহাড়ে জঙ্গলে তাঁরা কাটায় রাত দিন।
হানাদারের ভয়ে সবাই করে দৌড়াদৌড়ি
বৃদ্ধ মা বাবা শিশু রাস্তায় করে গড়াগড়ি ।
শত্রুরা দেয় বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে
রাজাকার খিল খিলিয়ে হাসে দূরে দাঁড়িয়ে।
কত যে গর্ভ ধারিনী মা প্রাণের ভয়ে
তারা হিংস্র জন্তুর গর্তে লুকায় গিয়ে।
সেদিন বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাকে
ধামাল ছেলেরা বেরিয়ে গেল ঘর থেকে
দলে দলে তারা অন্ধকার রাতে
লুকায় গিয়ে কাল পাহাড়ে ভারতে।
লাঞ্চিত বাঙালি না পেয়ে উপায়
যত দুঃখ ভারত মাতাকে জানায়।
মা মমতাময়ী তখনি আদর করে
ধূলো মাটি মুছে উঠায় হাত ধরে
সেদিন বাঙালি যত ধামাল ছেলে
লুকিয়ে রেখেছিল মায়ের শাড়ির আঁচলে।
শিখিয়ে দিয়ে মা যত রন কৌশল
বলেছিল যাও ধ্বংস কর শত্রুর দল।
আরো বলেছিল তোরা ভয় করিস না
আছি তোদের সাথে পিছু হটিবে না।
তখনি বাঙালি বীর সোনার ছেলে
দিয়েছিল বুকের তাজা রক্ত ঢেলে।
অকাতরে যারা সেদিন দিয়ে গেল প্রাণ
তুমি স্বাধীনতা ভাইয়ের রক্তের অবদান।
বাতাসে উড়ে বিজয়ের লাল সবুজ পতাকা
তাতে রয়েছে ৩ ০ লক্ষ শহীদের নাম লেখা।
স্বাধীনতার খুশির বন্যা সবার ঘরে ঘরে
সেই হাসিতেও কারো চোখে অশ্রু ঝরে
স্বাধীনতা স্বাধীনতা তুমি স্বাধীনতা
চিরদিন থাকিবে বাঙালি হৃদয়ে গাঁথা।