সিনিয়র রিপোর্টারঃ
টাংগাইল জেলার বাসাইল উপজেলাধীন কাঞ্চনপুর কাজিনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি বিধি লংঘনের অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী। তথ্যসূত্রে জানা যায় যে, তাঁরা কাঞ্চনপুর কাজিনাপাড়া গ্রামের সচেতন ও শিক্ষাকর্মময় প্রান্তিক জনগোষ্ঠি। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানের অংশীদারও বটে। গত ২৭ নভেম্বর, ২০২২ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিপত্র অনুযায়ী যার স্মারক নম্বর ৩৮.০১.০০০০.৪০০ ৯৯.০১১.২১.৪২৭ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের ৩য় প্রান্তিক মূল্যায়নের (বার্ষিক পরীক্ষা) জন্য ৪নং এ সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ যে, মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্নের শিক্ষার্থী বা অভিভাবকের নিকট থেকে কোন ফি গ্রহণ করা যাবে না। কিন্তু এই সরকারি আদেশকে অমান্য করে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) অর্থলিপ্সু আবু হানিফ মিয়া (০১৭১৫ ৫২৪৬৯৭) প্রান্তিক দরিদ্র কোমলমতি ও কচিকাঁচা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি বাবদ ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা হারে, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণি বাবদ ১০০ (একশত) টাকা হারে বাৎসরিক পরিক্ষার ফি আদায় করে। উক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক আরো নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। বলা বাহুল্য যে, তিনি নির্ধারিত ক্লাস না নিয়ে স্কুল সময়ের মধ্যেই শ্রেণি কক্ষে প্রাইভেট পড়ান ও প্রায়ই দুপুর ১২ টার পর অফিসের কথা বলে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। তিনি আরও বলে থাকেন উপজেলা শিক্ষা অফিস তার হাতের মুঠোয়, শিক্ষা অফিসারদ্বয় সকল কাজ কর্মই তার সাথে শেয়ার করে থাকেন যার কারণে অন্যান্য সহকর্মীদের কাছে অফিসের কথা বলে বাড়ির সাংসারিক কাজ ও বাজারে চায়ের দোকানে বসে গল্প গুজবে ব্যস্ত থাকে। তার নির্ধারিত শ্রেণিকক্ষে অনুপস্থিত থাকার কারণে বিশেষ করে দুপুর ১২টা পরবর্তী ক্লাসগুলো ঠিকমতো পাঠদান হচ্ছে না। যার ফলে কোমলমতি কচিকাঁচা শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে শিখন শেখানো কার্যবলী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যার কারণে নতুন বছরে নতুন শিক্ষার্থীরা অত্র বিদ্যালয়ে না ভর্তি হয়ে দূরবর্তী কিন্ডার গার্টেনে ভর্তি হচ্ছে। এর ফলে এলাকার গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজ, যুব সমাজ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।